crimepatrol24
১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ৪:৪৪ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ই-পেপার
  12. ইউরোপ
  13. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  14. উত্তর আমেরিকা
  15. উদ্যোক্তা

স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন সৈয়দপুরের চিনি মসজিদ

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
জানুয়ারি ২৪, ২০২০ ২:২৭ অপরাহ্ণ

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ঐতিহাসিক চিনি মসজিদ স্থাপত্য শিল্পের অনন্য নিদর্শন। চিনা মাটির নয়নাভিরাম কারুকার্যে শোভিত মসজিদটি একনজরে দেখতে নানা দেশের পর্যটকরা ছুটে আসেন নীলফামারীর সৈয়দপুরে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, উপমহাদেশে সুফী সাধকদের প্রেরণাতেই এক সময়ে মুসলিম শাসন ও মোগল আমলে বহু মসজিদ গড়ে উঠে। ধর্ম প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি মুসলিম সাধকরা শিল্প-সুষমা মতিরা অসংখ্য উপসনালয় ও মসজিদ তৈরি করেন। এমনি একটি উপাসানালয় নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগে ১৮৬৩ সালে নির্মিত ঐতিহাসিক চিনি মসজিদ। প্রথমে এটি ছিল একটি দোচালা টিনের ঘর। পরবর্তীতে ১৯২০ সালে ইমাম হাজী হাফিজ আবদুল করিমের উদ্যোগে মসজিদের ৩৯/৪০ ফুট আয়তনের পাঁকাঘর নির্মাণ করা হয়। এর নকশা তৈরি করেন হাজী করিম নিজেই। ১৯৬৫ সালে এর দ্বিতীয় অংশটিরও নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এ সময় কলকাতা থেকে ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর এনে মসজিদে লাগানো হয়। মসজিদের সম্পূর্ণ অংশ চিনামাটির টুকরা দিয়ে আবৃত করতে বগুড়ার একটি গ্যাাস ফ্যাক্টরি ওই মসজিদে ২৫ মেট্রিক টন চিনামাটির পাথর দান করেন। এই পাথরেই মোড়ানো হয় মসজিদের ৩২টি মিনারসহ ৩টি বড় গম্বুজ। নির্মাণ করা হয় উত্তর ও দক্ষিণে দু’টি ফটক। মসজিদের গোটা অবয়ব ঢেলে সাজানো হয় রঙিন চকচকে পাথরে। মসজিদের বারান্দা বাঁধানো হয় সাদা মোজাইকে। দেয়াল জুড়ে চিনামাটির পাথরেই আঁকা হয় নানান সুদৃশ্য নকঁশা।

স্থানীয় সাব্বির খাঁন জানান, মসজিদের পুরো অংশ চিনামাটি দিয়ে তৈরি বলে এর নাম করণ করা হয় চিনি মসজিদ। মসজিদকে ঘিরে আছে নানা কাহিনী। এর অনন্য নকশা আর স্থাপত্য শৈলীর কারণে এটি আকৃষ্ট করেছে শিল্প বা স্থাপত্য সমঝদারদেরকেও। মসজিদটি নিছক উপাসনালয়ই নয়, নয়নাভিরাম স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছেও সমান আকর্ষণীয়, তেমনি ধর্মানুরাগী মুসলমানদের মনেও মসজিদের আবহ সঞ্চার করে এক দারুণ আধ্যাত্মিক অনুভূতি। দৃষ্টি মনোহর ও ঐতিহ্যবাহী মসজিদটির দ্বিতীয় তলায় পর্যটকদের থাকার বিশেষ ব্যবস্থা আছে। ফলে প্রতিবছরই দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক, প্রথিতযশা ব্যক্তি ঘুরে আসেন এ মসজিদ। বিভিন্ন সময় পার্শবর্তী দেশের দু’জন রাষ্টপ্রধানও পরিদর্শন করেন এ মসজিদ। মসজিদটি সম্প্রসারণের দাবি উঠলেও এর বাঁয়ে একটি ইমামখানা, ডানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমে গা ঘেঁষে খ্রিস্টিয় সম্প্রদায়ের কবরস্থান আর পূর্বে পাকা সড়কের কারণে মসজিদটি সম্প্রসারণের সুযোগ সীমিত। তবে এরই মধ্যে ডানদিকে কিছুটা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ধর্মানুরাগী ও বিচক্ষণ আবদুল করিম এলাকায় নির্মাণ করেন বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৯ সালে তিনি পরলোকগমন করেন। নিঃসন্দেহে চিনি মসজিদ এ অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করতে রেখেছে অনন্য ভূমিকা। এটি ইতিহাসের পাতায় ধরে রাখতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন এলাকাবাসী।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সরকারি পরিসেবার কার্যকারিতায় ভিজিডি তালিকা প্রণয়ন বিষয়ক গণশুনানি

ডোমার পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৩জনসহ মোট ৪৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

পঞ্চগড়ে পূজা উপলক্ষে ৬ দিন বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর

শিক্ষক ছাড়াই ইংরেজি শিখুন

আদমদীঘিতে আবারও দুই চাতাল মালিকের ৬০হাজার টাকা জরিমানা

আদমদীঘিতে আবারও দুই চাতাল মালিকের ৬০হাজার টাকা জরিমানা

সারাদেশে করোনায় আরও ৬০ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত প্রায় ৪ হাজার

ঈদের আগেই শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস ও রেশন চালুর দাবিতে ঝিনাইদহে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ’র মানববন্ধন

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে শিক্ষকদের সংবর্ধনা

হোমনায় অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগের কারণে গ্যাস সংকট তীব্র, গ্যাসের সরবরাহ না থাকলেও বছরের পর বছর পরিশোধ করতে হচ্ছে বিল!

তিতাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবীতে মানববন্ধন