
আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম :
বাংলাদেশে ২০১১ সালে আবু মুহাম্মাদ আসসাওয়াদফি আল ফিকাহ নামের এক ব্যক্তি মিসর থেকে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলাযর জামায় একটি “ত্বীন” ফলের গাছ এনেছিলেন। পরে গাছটি জলমার দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স পরিচালিত সোসাইটি অব সোস্যাল রিফর্ম স্কুলের আঙ্গিনায় রোপণ করা হয়।
জানা যায়, দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স এর পরিচালক সুফি সালাইমান মাসুদ “ত্বীন” গাছটি রোপণ করেন। গত ৮ বছরে ধীরে ধীরে বড় হয়ে ফলও ধরেছে বেশ। ধারনা করা হচ্ছে, “ত্বীন” গাছ সম্ভবত বাংলাদেশে একটিই আছে। মুসলিমদের জন্য এই গাছ অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। এই “ত্বীন” গাছ নামে পবিত্র কোরআনে একটি সূরাই নাযিল হয়েছে। এই “ত্বীন” নামে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে শপথও করেছেন। আল্লাহ’র বাণী পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারার ৯৫ নম্বর সূরার প্রথম আয়াত وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ ‘ওয়াত্তীনি ওয়াযাইতূনি, ওয়া তুরি সীনীনা ,ওয়া হাযাল বালাদীল আমিন।বর্ণিত সূরায় আল্লাহতায়ালা বলেন, কসম/ শপথ “ত্বীন” (আঞ্জীর / ডুমুর ) ও জয়তুন (জলপাই) গাছের ও সিনা পর্বতের আর এই শান্তিময় নগরীর (মক্কা শরীফের) । সূরার প্রথম শব্দ “ত্বীন” অনুসারে এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে- সূরা আত-ত্বীন। আরবি শব্দ “ত্বীনের” বাংলা অর্থ আঞ্জীর/ আনজীর বা ডুমুর। মধ্যপ্রাচ্যসহ এবং পশ্চিম এশিয়ায় এই ফলের ব্যাপকভাবে উৎপাদন বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি, আরব আমীরাত, কুয়েত, মিসর আবুধাবি, পর্তুগাল এমনকি আফগানিস্তানেও পর্যন্ত এই ফলের বাণিজ্যিক চাষ করা হয় । দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা সানোয়ার হুসাইনসহ অনেকেই সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গাছটিতে ফল ধরেছে তারা অনেকেই গাছটির ফল খেয়েছেন। ফলটি অনেক সুস্বাদু , মিষ্টি ও রসালো।