
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি >>
ইটভাটার কাদামাটিতে ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই ঢোল সমুদ্র দীঘি রাস্তাটি অত্যন্ত ঝুকিপুর্ন হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পাকা রাস্তার ওপর কাদাপানি হয়ে চলাচলে ঝুঁকি তৈরী হচ্ছে। ব্যস্ততম এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে অনেক মানুষের হাত পা ভেঙ্গেছে। রাস্তাটির অবস্থা এখন এতোটাই ঝুঁকিপুর্ণ যে, রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে। এমএমআর ও এসএসবি ইটভাটার ট্রাক্টর-ট্রলি পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে এই কাদাপানির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ওই সড়কে চলাচলকারী পথচারীরা। এ নিয়ে জনগণের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, শহরের পাগলা কানাই থেকে ঢোল সমুদ্র দীঘি হয়ে বাড়িবাথান, রাজাপুর, বেড়বাড়ী ও তেঁতুলতলা গ্রামের মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। ২/৩ মাস ধরে সড়কটিতে চলাচল করা যায় না। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের বিপদের শেষ নেই। এছাড়া ভ্যান, সিএনজি, চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীদের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমএমআর ইটভাটার মালিক মিজানুর রহমান মাসুম ও এসএসবি ইটভাটার মালিক মতিয়ার রহমান জনদুর্ভোগকে থোড়াই কেয়ার করে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ রাস্তায় চলাচল করা মোটরসাইকেল চালক আকবার হোসেন বলেন, ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহী যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় রাস্তায় শুকনোয় কারণে যেমন ধুলো সৃষ্টি হয়েছিল, এখন বর্ষায় কাদাময় হয়ে রাস্তাটি ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠেছে।
দশম শ্রেণির ছাত্র রাফাত বলেন, দেখে বোঝার উপায় নেই এটা পাকা রাস্তা। অথচ কেউ আমাদের নির্বিঘ্নে চলাচলে সহায়তা করে না।
স্থানীয় পাগলা কানাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম. নজরুল ইসলাম জানান, আমরা এ সমস্যা নিয়ে অনেক দিন ধরে এ সড়কে চলাচল করছি। প্রতিদিন এসড়কে দুর্ঘটনা ঘটে, যার মূল কারণই হলো ইট ভাটা। এদের কারণে পাকা রাস্তা হয়ে পড়েছে কাঁচা রাস্তা। আমরা এ বিষয়ে ডিসি অফিসে জানিয়েছি। আমরা চাই দ্রুত ইট ভাটা দুটি এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হোক।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম মোবাইলে জানান, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা নষ্ট করা সম্পর্কে কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এমনকি স্থানীয় চেয়ারম্যানও এবিষয়ে আমাকে অবগত করেনি। যেহেতু আপনার মাধ্যমে ব্যাপারটা জানতে পারলাম, আমি খোঁজখবর নিয়ে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেব এবং ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে এমএমআর ইটভাটার মালিক মিজানুর রহমান মাসুম জানান, একমাস আগে থেকে মাটি টানা বন্ধ। তাই পথচারীরা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক না। তবে যদি কোন মাটি রাস্তার ওপর থাকে তবে আমি পরিস্কার করে দেব।