crimepatrol24
১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ২:৪১ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ই-পেপার
  12. ইউরোপ
  13. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  14. উত্তর আমেরিকা
  15. উদ্যোক্তা

২৫ বিঘার কম জমি থাকলে কর দিতে হবে না, সংসদে বিল পাশ

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩ ৯:২২ অপরাহ্ণ

ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
পঁচিশ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘ভূমি উন্নয়ন কর বিল ২০২৩’ পাস করা হয়েছে।

রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এই বিল পাস হয়।

নতুন এই আইন অনুযায়ী, কারো ২৫ বিঘার বেশি জমি থাকলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। বাংলার পরিবর্তে ইংরেজি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী এ কর আদায় করা হবে।

নতুন করে ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য, কর ফাঁকি ও আদায়ে কোনো অনিয়ম প্রতিরোধ করতে এদিন জাতীয় সংসদে বিলটির প্রস্তাব করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই, কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘নতুন এই আইনের আওতায় অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করার ফলে ভূমির মালিক সর্বসাধারণ উপকৃত হবেন এবং স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে। এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য ও আদায়ের লক্ষ্যে নতুন এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন-২০২৩’ শীর্ষক আইনে জনস্বার্থে ২৩টি ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে।’

এছাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, উত্তরাধিকারী, কালেক্টর ইত্যাদি সংজ্ঞা যুগোপযোগী করা হয়েছে। আইনে কৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন করের হার ২৫ বিঘা পর্যন্ত মওকুফ রাখার বিধান রয়েছে এবং অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন করের হার সরকার সময় সময়ে গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা পুনঃনির্ধারণ করতে পারবে মর্মে বিধান রাখা হয়েছে।

আইনে জনগণের সুবিধার্থে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য জুলাই-জুন অর্থাৎ অর্থবছরকে কর বৎসর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগে পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে পহেলা জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।

সংসদে পাস হওয়া বিলে কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, তা আগেই জমির মালিককে জানিয়ে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবহারভিত্তিক হবে। প্রতিবছর কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, সেটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তালিকা তৈরি করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে যদি কারো আপত্তি থাকে, সেটা তিনি অভিযোগ করতে পারেন। তিনি এসিল্যান্ড ও জেলা কালেক্টরের কাছে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করতে পারেন। জেলা কালেক্টর (ডিসি) তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।

আইনে প্রজ্ঞাপন দিয়ে মহামারী, দুর্বিপাক ইত্যাদি বিশেষ সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া বিলের বিধান অনুযায়ী, কোনো ভূমির মালিক টানা ৩ বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিলে তাকে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া ভূমি মালিক আগ্রহী হলে বকেয়া ও হাল ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সঙ্গে অথবা পরবর্তীতে অনধিক ৩ বছরের ভূমি উন্নয়ন কর অগ্রিম দিতে পারবেন।

ভূমি উন্নয়ন বিল পাসের সময় আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা বিলটি আনার জন্য ভূমিমন্ত্রীর প্রশংসা করেন এবং ভূমি ব্যবস্থাপনায় শৃংঙ্খলা আনয়নের জন্য তারা মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

জগন্নাথপুরে মামার হাতে ভাগ্নে খুন: ঘাতক গ্রেফতার

রংপুরের তিস্তা ক্যানেলে বস্তাবন্দী তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

মক্কা ও জেদ্দার দিকে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস

ঝিনাইদহে পল্লী বিদ্যুত সমিতির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

কেএমপি’র অভিযানে মা’দকসহ ২ ব্যবসায়ী গ্রে’ফতার

কেএমপি’র অভিযানে মা’দকসহ ২ ব্যবসায়ী গ্রে’ফতার

দাউদকান্দিতে হতদরিদ্র মানুষের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলো- মানবতা একতা ফাউন্ডেশন

পঞ্চগড়ে করোনায় এক নারীর মৃত্যু

ডিমলায় এসডিজি বাস্তবায়ন ও প্রত্যাশা বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন

এনজিও’র কিস্তির বেড়াজালে রংপুরের অসহায় ও দুস্থ মানুষজন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী