crimepatrol24
২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় ভোর ৫:৪৯ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

রংপুরে ১৩ মাসেই অ’তিষ্ঠ ইউনিয়নবাসী, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ সদস্যের অ’নাস্থা

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩ ৯:৩৪ অপরাহ্ণ
রংপুরে ১৩ মাসেই অ’তিষ্ঠ ইউনিয়নবাসী, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ সদস্যের অ’নাস্থা

 

 

 

রংপুর ব্যুরো :

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ০৭ নং মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের স্বে’চ্ছাচারিতা এবং নানা অ’নিয়ম-দু’র্নীতির অভিযোগ তুলে অ’নাস্থা প্রকাশ করেছেন ১০ জন ইউপি সদস্য। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রংপুর জেলা প্রশাসক এবং গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই ইউপি সদস্যরা।

লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা যায়, ৭ নং মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান তার একক সিদ্ধান্তে পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কাজের বরাদ্দ ও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কোন সদস্যের মতামত নেওয়া হয়নি।

এই ইউনিয়ন পরিষদের জন্য বরাদ্দ ২৪০০ টিসিবি কার্ডের বিতরণে কোনো প্রকার মিটিং ছাড়াই ইউপি সদস্য প্রতি ১০০টি করে টিসিবি কার্ড নিজ ক্ষমতায় প্রদান করেন। ৪৭৪৫ ভিজিএফ কার্ড বিতরণে কোনো প্রকার মিটিং ছাড়াই ইউপি সদস্য প্রতি ১৭৫টি কার্ড প্রদান করেন। কোনো প্রকার সমন্বয় ছাড়া ৪০ দিনের কর্মসূচি চেয়ারম্যান তার ইচ্ছেমতো পছন্দের লোকের মাধ্যমে প্রদান করেন। রেশন কার্ডের ৪৪০টি কার্ড বাতিল করে এবং ইউপি সদস্যদের জন্য ১২টি করে কার্ড বরাদ্দ দিয়ে বাকী কার্ডগুলো ঘু’ষের বিনিময়ে বিক্রি করেন। হতদরিদ্র এবং বন্যাদুর্গত পানিবন্দী মানুষের জন্য শুকনো খাবারসহ ২ মে. টন চাল আ’ত্মসাৎ করেন। কোনো প্রকার মিটিং ছাড়াই ই.ডি.পির বরাদ্দ আ’ত্মসাৎ করেন। সমন্বয় ছাড়াই নন-ওয়েজ প্রকল্পের ২টি প্রকল্প তিনি আ’ত্মসাৎ করেন। এলজিএসপি ৩টি প্রকল্পের মোট ১২ লক্ষ টাকার মধ্যে ১২ জন ইউপি সদস্যের নিকট ৩ লক্ষ টাকার প্রকল্প প্রদান করলেও অবশিষ্ট টাকা তিনি আ’ত্মসাৎ করেন। কাবিখা/কাবিটা প্রকল্পের টাকাও তিনি আ’ত্মসাৎ করেন। ১২ জন ইউপি সদস্যের জন্য টিআর প্রকল্প বাবদ বরাদ্দ ইউপি সদস্য প্রতি ১০ হাজার টাকা, সেটাও উত্তোলন করে আ’ত্মসাৎ করেন ওই চেয়ারম্যান। অথচ সেই প্রকল্পের মূল্য ছিল ৫ হাজার টাকা করে। সরকারি জমিতে ড্রেজার লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করে তার নিজস্ব কর্মী বাহিনী দ্বারা টাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার মোট ৩০১টি সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করেন। উক্ত সরকারি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও চলমান রয়েছে।

অভিযোগ আরো জানা যায়, চেয়ারম্যান জিল্লুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার নিয়োগে ৬ লক্ষ টাকা হা’তিয়ে নিয়েছেন। ওই ইউনিয়নের মৌভাষা মডেল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগের জন্য চাকুরির বিজ্ঞপ্তি গোপন রেখে সম্ভাব্য চাকুরী প্রার্থীদের চাকুরি দেওয়ার প্র’লোভন দেখিয়ে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা হা’তিয়ে নিয়েছেন চেয়ারম্যান জিল্লুর। এছাড়াও নিজস্ব কর্মীবাহিনী দ্বারা সরকারি প্রায় ১০ একর জমি দ’খল করে ইজারা প্রদান করে টাকা উত্তোলন করে আসছেন।

নির্বাচিত হওয়ার ১৩ মাসেই চেয়ারম্যানের স্বে’চ্ছাচারিতায় অ’তিষ্ঠ ইউনিয়নবাসীসহ ইউপি সদস্যরা। অ’র্থলোভী ও লু’টেরা চেয়ারম্যানের নানা অ’নিয়ম-দু’র্নীতির প্রতিবাদে ইউনিয়ন পরিষদের ১০ সদস্য অ’নাস্থা জানিয়ে এবং চেয়ারম্যানের অ’পসারণের দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরসহ ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে নানা কর্মসূচি পালন করছেন অ’নাস্থাকারী ইউপি সদস্যসহ ইউনিয়নবাসী। এর অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার (০৭-০২-২০২৩) ইউনিয়নের মর্ণেয়া জমচড়া বাজারে ইউনিয়নবাসীকে সাথে নিয়ে মানববন্ধন করেন অনাস্থা আনয়নকারী ওই ১০ ইউপি সদস্য। এসময় অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের অপসারণসহ শাস্তির দাবি জানান তারা।

অ’নিয়ম-দু’র্নীতির সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ইউপি সদস্যদের অ’নাস্থার বিষয়টি আমি জেনেছি। যেহেতু বিষয়গুলো তদন্ত হবে, তদন্তে বেরিয়ে আসবে সত্য-মিথ্যা।’

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, ‘মর্ণেয়া ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতি ১০ জন সদস্যের অ’নাস্থার অভিযোগ আমরা পেয়েছি এবং জেলা প্রশাসন বরাবর সেই অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় শীঘ্রই একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

রংপুর জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে ইউনিয়ন পরিষদ আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর এই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২২ হাজার ভোটের মধ্যে জিল্লুর পায় ৪১৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে মাত্র ৩৬ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয় জিল্লুর। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব’হিস্কৃত নেতা হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

দেশে করোনায় আরও ১৬ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ২১৮৭

পঞ্চগড়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা কমিটির সভা

হোমনায় অনুমতিবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন

সরবরাহ কম থাকায় ঝিনাইদহে হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম!

ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২২ জনের মনোনয়ন দাখিল

ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২২ জনের মনোনয়ন দাখিল

নিম্নাদালতের তথ্য গোপন করে জজ কোর্টে জামিনের চেষ্টাও ব্যর্থ , ফের হাজতে মাস্টার শামশুদ্দোহা

হরিণাকুন্ডুতে ছেলের নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা মায়ের আদালতে মামলা

সরিষাবাড়ীতে মেয়র রোকনকে অপসারণের দাবিতে কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহে মসজিদের ইমাম ও খতীবদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা

রংপুরে ৩ কোচিং সেণ্টার সিলগালা, ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড