
মোঃ মেহেদী হাসান ফারুক, টাংগাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তিকারী এক বয়াতি গ্রেপ্তার হয়েছে। ইসলাম বিরোধী মন্তব্য এবং প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তিকারী ভন্ড শরিয়ত বয়াতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বাশিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে মির্জাপুর উপজেলার আগধল্যা গ্রামের পবন মিয়ার ছেলে মো. শরিয়ত বয়াতী (৩৫)।
উল্লেখ্য, ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার রৌহাট্টেক পীর এ কামেল হযরত হেলাল শাহ্ এর ১০ম বাৎসরিক মিলন মেলায় গত ২৪ ডিসেম্বর’১৯ রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১.২২ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পালা গানে ভন্ড শরিয়ত বয়াতী বলেন, হুজুররা ১৩শ’ টাকা বেতনের চাকুরি করে আযান দেয় সেই টাকা দিয়ে সংসার চালায়। বানরের মত চোক্কা টুপি মাথায় দিয়া ঘুরে, আর শালারা বলে হারাম হারাম। গান বাজনা হারাম, কোরআনে কোথাও এই কথা বলা নাই উল্লেখ করে বলে, কেউ যদি হারাম প্রমাণ দিতে পারে তাহলে সে তাকে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দিবে। যারা নামাজ পরে সেজদা দিয়া কপালে কালো দাগ করে, তাদের কপাল থেকে ১১৩ টি কিরা বের হয়। নামাজ পড়ে যে নূর হয় সেগুলি হুজুরদের পায়ু পথে বের হয়। নবীই আল্লাহ, আল্লাহই নবী, যেই মুরশেদ সেই রসুল এই কথাতে নেই কোন ভুল, বলেন লালন ফকির। গুরুর চরণে সেজদা করতে হবে, আল্লাহকে সেজদা করার প্রয়োজন নাই। যে পীর ধরেনা সে মুসলমান না। এভাবেই পালা গানের মধ্যে শরিয়ত বয়াতী আল্লাহ্, রাসুল, ইসলাম, কোরআন, হাদিসের বিরুদ্ধে এমন আরো অনেক মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। সেই গানটি/বক্তব্যটি ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেলে মির্জাপুরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তার বিচার দাবিতে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন। তারই ধারাবাহিকতায় মির্জাপুর ড.আয়েশা রাজিয়া খন্দকার স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে গত ০৭ জানুয়ারি প্রতিবাদ সমাবেশ করে হাজারো মুসল্লি। সমাবেশের ৫ দিনের মাথায় বয়াতীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার এস.আই মুহাম্মদ মিজানুর রহমান-১ বলেন, শরিয়ত বয়াতীকে গ্রেপ্তার করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।