ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর কোর্ট বিল্ডিং ডিসি হিলে মানববন্ধন ও পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ক্যাব চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন ও স্মরকলিপিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত আলু, পেঁয়াজ, সবজি এবং সয়াবিন তেলের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাস অবস্থা। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু মান ভেদে এখনো ৭৫-৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১৫-১৩০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৫-১৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নভেম্বর মাসে এমন চড়া দামে আলু বিক্রি হতে দেখা যায়নি। মূলত আলুর হিমাগার পর্যায়ে হিমাগার মালিক, বেপারী ও কমিশন এজেন্টদের কারসাজিতে হাতবদল ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের কারণেই এবার আলুর দামের এই উর্ধ্বগতি। হিমাগারে বিপুল মজুদ থাকলেও স্থানীয় কমিশন এজেন্ট ও আড়তদাররা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করছেন। আবার দাম নিয়ন্ত্রণ বা আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হিমাগার ও আড়তদার পর্যায়ে যথাযথ তদারকি নাই। আর এই তদারকি না থাকায় আলুর মতো পেঁয়াজের দাম ও অনেক বেশি।
আলু উত্তোলন মৌসুমের শুরুতে কৃষকরা পাইকারি দামে প্রতি কেজি আলু বিক্রি করেছে ২৫-২৮ টাকা। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হতো ৩০-৩৫ টাকায়। আর এখন সে আলু প্রতি কেজি ৮০ টাকায় পৌঁছেছে। কৃষক থেকে নামমাত্র মূল্যে আলু কিনে মজুদ করে অতিরিক্ত মুনাফা লু’টছে অ’সাধু ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে এসব ঘটনা বারবার ঘটছে। এ পরিস্থিতি সরকারি বাজার তদারকি সংস্থাগুলোকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ না করলে জনভোগান্তি কমবে না।
পরে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের কাছে স্মারকলিপিতে-৮দফা দাবিনামা পেশ করা হয়। দাবিগুলাহলো; অসাধু ও সিন্ডিকেটবাজ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, দেশব্যাপী নিত্য পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, বাজার অভিযান/মনিটরিং জোরদার ও কলেবর বৃদ্ধি করতে হবে, টিসিবির ট্রাক সেল বাড়াতে হবে, বাজারে খোলা ভোজ্য তেল বিক্রিতাদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে, ভোক্তা স্বার্থ দেখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা বিভাগ বা ভোক্তা অধিকার মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে, সরকার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ১ কোটি সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য দিচ্ছে এর সংখ্যা ১,৫০,০০০০ (দেড় কোটি) করতে হবে, আইনে নিষিদ্ধ থাকা বাজারে খোলা ভোজ্য তেল (ড্রামে) বিক্রেতাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, সদরঘাট থানা সভাপতি মোহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, ক্যাব ৮নং পশ্চিম ষোল শহরের আবদুল আওয়াল শাহীন, ক্যাব যুব গ্রুপের রাসেল উদ্দীন, সিদরাতুল মুনতাহা, রাইসুল ইসলাম ও ক্যাব বিভাগীয় সমন্বয়ক আবু হাসান আজমী প্রমুখ।