
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি।।
নীলফামারীর ডোমারে শাশুড়ির হাতে নি*র্যাতনের শিকার হয়ে বুলবুলি বেগম নামে এক গৃহবধূ হাসপাতালের বিছানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। গত ৪দিন যাবত গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় পড়ে থাকলেও শ্বশুরবাড়ীর লোকজন কোনো প্রকার খোঁজখবর না নেওয়ায় মনের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাগডোকরা তেলীপাড়া গ্রামে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত গ্রামের ময়নুল হকের ছেলে আমিন হোসেনের সাথে বিগত ১২ বছর পূর্বে পৌর এলাকার পূর্ব চিকনমাটি সবুজপাড়ার বুলবুল ইসলামের মেয়ে বুলবুলি বেগমের বিয়ে হয়। ঘর সংসার চলাকালীন তাদের ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ৩বছর যাবত সংসারের সামান্য বিষয় নিয়ে গৃহবধূ বুলবুলি বেগমকে কারণে অকারণে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে শারীরিক ও মানসিক নি*র্যাতন চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। ২টি সন্তানের কথা চিন্তা করে বুলবুলি সকল নি*র্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) বিকালে পরিবারের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুলবুলির শাশুড়ি আমিনা বেগম ও তার স্বামী গৃহবধূকে বেধরক মা*রপিট করে বাড়ীর পাশে রেললাইনের পাশে ফেলে রাখে।
এলাকাবাসী জানান, ২ ঘন্টা যাবত অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকায় তার বাবার বাড়ীতে সংবাদ দিলে বাবা মা গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাদের নির্যাতনের ফলে বুলবুলি এতটাই অসুস্থ যে, সে তার বাগশক্তি হারিয়ে ফেলে। এবিষয়ে গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে ডোমার থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জানান, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাশুড়ি আমিনা বেগম বৌমাকে মা*রপিটের বিষয়টি অস্বীকার করেন।’
বুলবুল ইসলাম জানান, ‘এর আগে একাধিকবার জনপ্রতিনিধি দ্বারা বিচার সালিশ করেও কোন ফল হয়নি।’
মেয়ে কে নি*র্যাতনের বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন গৃহবধূর বাবা বুলবুল ইসলাম।

















