
সুজন মহিনুল, নীলফামারী রিপোর্টার।। নীলফামারীর ডিমলায় নিজ বাসা থেকে আনোয়ারুল হক চোধুরী(৪৮)নামের ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর এক ব্যবসায়ীর র’ক্তাক্ত ম’রদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার(৯ অক্টোবর)বিকেলে ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের বিজয় চত্বরের পিছনে অবস্থিত ওই ব্যবসায়ীর নিজ বাসা থেকে তার মাথায় জ’খমসহ র’ক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যবসায়ী পাশ্ববর্তী জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের খারিজা গোলনা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে ও ডিমলা সদরের ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট ছিলেন।তিনি দীর্ঘ বছর ধরে ডিমলা সদরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,ঘটনার আগের দিন ব্যবসায়ী আনোয়ারুলের স্ত্রী সুখি বেগম তাদের দুই সন্তান নিয়ে আনোয়ারুলের গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় ডিমলা সদরের বাসাতে ব্যবসায়ী আনোয়ারুল একাই ছিলেন।রোববার(৯ অক্টোবর)সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আনোয়ারুলকে তার স্ত্রীসহ পরিবারের লোকেরা একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ না করায় পরিবারের লোকেদের মনে প্রশ্ন জাগে।পরে আনোয়ারুলের ছোট ভাই আজিজুল ইসলাম(৩৮)ডিমলা এসে দুপুরেও তার বড় ভাইয়ের বাসার দরজা-জানালা বন্ধ ও তিনি কারো কল রিসিভ না করার বিষয়টি পুলিশকে জানালে তিনিসহ থানা পুলিশ ওই ব্যবসায়ীর বাসায় গিয়ে দেখেন ব্যবসায়ী আনোয়ারুলের মাথায় জ’খমসহ তার র’ক্তাক্ত ম’রদেহ পড়ে রয়েছে।এ সময় ব্যবসায়ী আনোয়ারুলের জায়গায় তারই বাসা সংলগ্ন ও বাসা ঢোকার দরজা সম্বলিত ভাড়া দেয়া দোকানঘরে মোটরসাইকেল মেকানিক ব্যবসা পরিচালনা করে আসা পল্লব নিজ দোকান খুলে মালামাল এলোমেলো হয়ে পড়ে থাকতে দেখতে পায় বলে জানান।খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারি পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল)আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ,নীলফামারীর গোয়েন্দা শাখা(ডিবি) পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন সরকার,ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)লাইছুর রহমান,ওসি(তদন্ত)বিশ্বদেব রায়,পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)রংপুর।পরে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।তবে নি’হতের পরিবারের দাবি ঘা’তকদের ধারণা ছিল আনোয়ারুল ব্যবসায়ী হওয়ায় তার বাড়িতে হয়তোবা অনেক টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিলো।আর সেই টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিতেই আনোয়ারুলকে নৃ’শংসভাবে হ’ত্যা করা হয়েছে।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত(সোমবার বিকেল চারটা)মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)লাইছুর রহমান বলেন, ‘দুপুরে নিহতের ছোট ভাই আজিজুল ইসলাম থানায় এসে তার বড় ভাইয়ের বাসার দরজা-জানালা বন্ধের ও ফোন রিসিভ না করার বিষয়ে থানা পুলিশকে জানালে আমরা ওই ব্যবসায়ীর বাসায় গিয়ে তার মাথায় জ’খমসহ র’ক্তাক্ত ম’রদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পাই।ঘা’তকরা ব্যবসায়ী আনোয়ারুলের মাথায় আ’ঘাত করে তার মৃ’ত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।ঘটনার আসল কারণ তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে।’