সিএস এবং লাইন ডিরেক্টরের সাংঘর্ষিক বক্তব্য রহস্যজনক
দাউদকান্দি প্রতিনিধি>>
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের জন্য কোনো টাকা-পয়সা বরাদ্দই আসেনি বলে দাবি করেছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন (চঃদাঃ) ডা. মীর মোবারক হোসাইন।
বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়-,৩২১১১০৬ নং কোডে আপ্যায়ন বাবদ ১৬ লাখ ৪১ হাজার ৬০০ টাকা, ৩২২১১০৬ নং কোডে পরিবহণ বাবদ ৬ লাখ ১২ হাজার টাকা, ৩২৫২১০৮ নং কোডে স্বাস্থ্য বিধান সামগ্রী বাবদ ৬০ হাজার ৭ শত ২০ টাকা, ৩২৪৪১০১ নং কোডে ভ্রমণ বাবদ ১ লাখ ৮ হাজার টাকা এবং ৩২৫৭২০৬ নং কোডে সম্মানীভাতা বাবদ ২৫ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মোট ২৪ লাখ ৪০ হাজার ৩২০ টাকা বরাদ্দ পেয়েও সিভিল সার্জন তা বেমালুম অস্বীকার করেছেন।
উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা লস্কর বলেন বরাদ্দ পাওয়া পুরো টাকাটাই বিল/ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে। বিল/ভাউচার দেখতে চাইলে তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া তিনি এসব দেখাতে পারবেন না।
একই কথা বলেন, দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট(ইপিআই) বিল্লাল হোসেন।
গত ১০ ডিসেম্বর’২০২১ শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন টিকাদান কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের হাসপাতালে ডেকে এনে টাকার অংক না লিখে বিল/ভাউচারে কীসের স্বাক্ষর নিয়েছিলেন এমন প্রশ্ন করলে বিল্লাল হোসেন এটারও কোন সদোত্তর দিতে পারেন নি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি এন্ড এএইচ) ডা. মোঃ শামসুল হক বলেন, ওনি ( সিএস) বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রথমবারেরটাও গেছে এবং এখনকারটাও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। করোনার কোনো বরাদ্দই পায়নি এটা বলে থাকলে কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন সঠিক বলেন নি।
উল্লেখ্য, দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শহীদুল ইসলাম কে গত ২৫ নভেম্বর ২০২১ তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ওএসডি এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার-২ (এনসিডিসি) করা হয়েছে।