
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি।।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক গাফিলতি ও অনিয়মের অভিযোগে বিতর্কের মুখে পড়েছে। চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়ার দীর্ঘ সময় ধরে অফিসে অনুপস্থিত থাকার কারণে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ নানা সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে প্রায় সতের মাস চেয়ারম্যান নিয়মিত পরিষদে উপস্থিত থাকেন না। ফলে জন্মনিবন্ধন, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা, নাগরিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সেবা প্রার্থীরা সঠিক সময়ে পান না। এছাড়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ শামসুল হুদাও প্রায়ই অফিসে অনিয়মিত ও অনুপস্থিত থাকেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রাম পুলিশ সাগর মিয়া ইউনিফর্ম ছাড়া দায়িত্ব পালন করছেন। ইউপি সদস্যদের মধ্যে মাত্র ৩–৪ জন উপস্থিত ছিলেন; বাকিরা অনুপস্থিত থাকায় সাধারণ জনগণ সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়ছে ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চেয়ারম্যানকে ফোনে পাওয়া দুষ্কর। কখনো তিনি বলেন, “অফিসে এসে ফোন দিন, আবার পরে ফোন করলে সাড়া দেন না।’
ইউপি সদস্যরা জানান, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতের বিচার কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে,আর ও কাগজ পত্রের চেয়ারম্যানের সীল ও সই নিতে পারছে না। ফলে অফিসের কাজ ও স্থানীয় বিরোধ ও ছোটখাট বিবাদ সমাধান ব্যাহত হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা কর্তৃক বরাদ্দকৃত উন্নয়ন তহবিলের অধিকাংশ ব্যয় কেবল ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হচ্ছে। অন্য ওয়ার্ডগুলো তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা এবং ইউপি সদস্যরা দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও মহোদয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয় এবং জনগণ তাদের নাগরিক সেবা পেতে পারেন।

















