crimepatrol24
৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ২:৩৭ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

রংপুরে ধানকাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
নভেম্বর ১৬, ২০২২ ৯:১১ অপরাহ্ণ
রংপুরে ধানকাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক

 

 

 

রংপুর ব্যুরো :
রংপুরে এবার আমন ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। বন্যা-খ’রাসহ আর প্রাকৃতিক দু’র্যোগের প্রতিকূলতা কাটিয়ে সোনালি ফসল ঘরে তুলতে দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না কৃষকসহ মজুররা। কৃষি বিভাগ বলছে, গত বছরের চেয়ে এবার ফলনে ৮ থেকে ১০ শতাংশ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রংপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর এ জেলায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে। এতে ৭ লাখ ৪০ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যা থেকে প্রায় ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮০৫ মেট্রিক টন চাল প্রাথমিকভাবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে শেষ সময়ে ফলন ভালো হওয়ার এই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রতি হেক্টরে গড়ে সাড়ে ৫ টন চাল উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। এরই মধ্যে জেলার প্রায় ৩০ শতাংশ জমির ধান কর্তন হয়েছে।

এবার আশাতীত ফলন হওয়ায় দারুন খুশি রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা। তাদের ভাষ্যমতে এর আগে এত ভালো ফলন দেখেনি তারা। যদিও মৌসুমে খ’রার পর বন্যা আর সারের সং’কটে ভুগতে হয় কৃষকদের।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের ছিদাম এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠে মাঠে আমন ধান কাটার যেন আনন্দ উৎসব শুরু হয়েছে কৃষকদের মাঝে। আগামী দুই সপ্তাহ ধরে টানা এভাবে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে কৃষিজীবী মানুষের অবকাশ মিলবে না।

মজুরদের সঙ্গে নিজের জমিতে ধান কাটছিলেন ইসমাইল হোসেন। কথা হয় এই কৃষকের সঙ্গে। ইসমাইল জানান, ‘ক্ষেতে অনেক পরিশ্রম করেছি, সার সং’কট থাকলে যথাসময়ে পানি থাকায় এবার ভালো ফলন হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ফলন ভালো হওয়ায় খুব আনন্দ লাগছে।’

দেড় একর জমিতে গতবারের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ মণ ধান বেশি পাওয়ার আশা করছেন তিনি। ইসমাইলের মতো ফলনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এই জেলার প্রায় প্রত্যেক কৃষক।

জেলায় এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ জমির ধান কর্তন সম্পন্নের কথা জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ শামীমুর রহমান। তিনি বলেন, সামনে আর কোনো প্রাকৃতিক দু’র্যোগ না হলে এ বছর কৃষকরা তাদের ঘরে বাম্পার ফলন তুলবেন। চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। এসব আবাদের জমির কৃষকরা ফলনে বেশ খুশি। তুলনামূলকভাবে আমনে রোগবালাই অনেকাংশে কম থাকায় সবমিলে এবার জেলায় প্রায় ১০ শতাংশ উৎপাদন বেশি হওয়ার আশা প্রকাশ‌ করেন তিনি।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল