
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
ডোমারের চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনটিতে দীর্ঘদিন থেকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিরা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় ট্রেন যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন এ সমস্ত টিকিট কালোবাজারিদের হাতে। লকডাউনের পর ট্রেন চালু হলে চিলাহাটিতে টিকিট কালোবাজারিদের প্রতিহত করতে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন লকডাউনের পর ৩ জুন চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে নীলসাগর ও রূপসা আন্তঃনগর ট্রেন চালু করেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে টিকিট কাউন্টার বন্ধ রেখে অনলাইনে টিকিট ছাড়ায় সিংহভাগ টিকিট চলে যায় কালোবাজারিদের হাতে। এই সুযোগে প্রতিটি টিকিট দ্বিগুন দামে বিক্রিসহ একটি টিকিট একাধিক ট্রেন যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে আসছে কালোবাজারিরা। কয়েক দিন থেকে ট্রেনে ভ্রমণ করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের। এরই প্রতিবাদে স্থানীয় কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী টিকিট কালোবাজারি মজিবুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, শাকিল ইসলাম, ডালিম হোসেন, হাচান আলী, মোকাদ্দেস হোসেন খোকা, ভোলা ও অল টাইম কম্পিউটারের হান্নানসহ আটজনকে আটক করে যুবলীগ অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে ট্রেন যাত্রীদের হয়রানি বন্ধ করতে কালোবাজারিদের সতর্ক করে ছেড়ে দেয়। এতে টিকিট কালোবাজারি চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার রাত সাড়ে আটটায় চিলাহাটি প্রেসক্লাবের সামনে ওই ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা সক্রিয় হয়ে ধাওয়া করলে কালোবাজারিরা পালিয়ে যায়। অভিযোগে আরো জানা গেছে, লকডাউনের আগে টিকিট কালোবাজারি চক্রটি কাউন্টারের সাথে হাত মিলিয়ে প্রতিদিন চড়া দামে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করার একাধিক অভিযোগ থাকার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে। টিকিট কালোবাজারি আট জনের নামে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।