
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তালতলা হরিপুর গ্রামে। এই গ্রামের মিজু বিশ্বাস ও তার চাচা রওশন আলী গত শুক্রবার সন্ধার দিকে মোটরসাইকেলযোগে কলমনখালী বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা তালতলা হরিপুর গ্রামে পৌছানো মাত্রই আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী জুয়েল ও তার সন্ত্রাসী দলবল ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। কোপের পর কোপে শরীর ক্ষত- বিক্ষত হয়। ঝিনাইদহ সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার বিবরণ থেকে এই তথ্য জানা গেছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, জুয়েল ও তার দলবলের সদস্য সন্ত্রাসী ও দাঙ্গবাজ। তারাও ওই গ্রামের মকো বিশ্বাসের ইন্ধনে চলে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় লিয়াকত বিশ্বাসের ছেলে জুয়েল, ওলিয়ার রহমানের ছেলে চান মিয়া, ছবেদ বিশ্বাসের ছেলে মসলেম, মনিরুলের ছেলে মিজানুর, মকো বিশ্বাসের ছেলে মহব্বত আলী, ইসাহাকের ছেলে সাবজাল, মকছেদের ছেলে মনিরুল, বিশারতের ছেলে শামীম ও মকছেদ বিশ্বাসের ছেলে মকো বিশ্বাস মিজু বিশ্বাসকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাস্তায় ওঁৎ পেতে ছিল। মিজু বিশ্বাস ও তার চাচা রওশন আলী কাছে আসা মাত্রই রাম দা, চাপাতি ও ডাসা নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। মরধর করার পর মিজু বিশ্বাসের পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন মিজু বিশ্বাসকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মুমূর্ষু হওয়ায় তাকে পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করলেও দেশের এই পরিস্থিতিতে তাকে আল ফালাহ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আহত মিজুর পিতা মোদাচ্ছের আলী বিশ্বাস ঘটনার পর দিন ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। যার মামলা নং ২৫। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে পুলিশ বলছে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিরা আত্মগোপনে। বাদীর অভিযোগ আসামিরা গ্রামেই থাকছে। পুলিশ আসা দেখলে আসামিরা এ বাড়ি ও বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ বদিউর রহমান জানান, বাদী ও আসামিরা উভয়ই একই সামাজিক দলের সদস্য। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। যে কোন সময় গ্রেফতার হতে পারে বলে এসআই মোঃ বদিউর রহমান আশা ব্যক্ত করেন।