
তৌকির আহাম্মেদ হাসু , সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে তারাকান্দিসহ চারটি ইউনিয়নের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী জোন এর লাইন ম্যানরা ও দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ তাদের মনগড়া আইনি প্রক্রিয়াকরণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন সমেত নানা অনিয়মে থাকা তারাকান্দি পল্লীবিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্র কর্তৃক সাধারণ গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগে ফেলছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে , সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি নামক স্থানটির কান্দার পাড়া গ্রামের পল্লীবিদ্যুৎ গ্রাহক হিসাব নং 445/2763 ।গ্রাহকটির বিদ্যুৎ সংযোগটি লাইনম্যানরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে মনগড়া আইনি প্রক্রিয়াকরণে বিচ্ছিন্ন করে দেয় ৷
এ বিষয়ে বিদ্যৎ সার্ভিস লাইন ও মিটারের স্বত্বাধিকারী গ্রাহকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল আসে দুই-আড়়াই শত টাকা ৷যখন সর্বোচ্চ আট-নয়শত টাকা বিল হয় তখন আমি পরিশোধ করি তা তারাকান্দি পল্লীবিদ্যুৎ জোনের কর্তৃপক্ষসহ সকলেই জানে ৷ যদিও বিলের কাগজে লেখা আছে প্রতিমাসে ছাব্বিশ তারিখের মধ্যে বিল পরিশোধ না করলে পরের মাসে পাঁচ তারিখের মধ্যে বিলম্ব মাসুলসহ তা পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিনা নোটিশে কর্তন করার এক্তিয়ার থাকে কর্তৃপক্ষের ৷ অথচ ছাব্বিশ তারিখের পূর্বেই আঠারো তারিখে সংযোগটি ব্যক্তিগত আক্রোশে সার্ভিস লাইনটি কর্তন করা হয় । অতঃপর পরবর্তী মাসের বেঁধে দেয়া শেষ পাঁচ তারিখে বিলম্ব মাসুল সহ বিল দেয়ার সুযোগ থাকলে, সেখান থেকেও কেন যে,আমাকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এ বিষয়ে আমি চরম হতাশায় ভুগছি। এলাকার একজন প্রবীন ব্যক্তিত্ব এলাকার গোষ্ঠীগত ও পেশীশক্তির দাপট দেখানো এম,পিওভুক্ত নয়, টেম্পোরারি পল্লী বিদ্যুতের ইলেক্ট্রিশিয়ান দালালদের ভয়ে, নাম না বলার শর্তে বলেন, এখানে আট-নয়শত টাকার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হয় কিন্তু দশ হাজার পনেরো হাজার ও বিশ হাজার টাকা বকেয়া থাকা সংযোগগুলো কর্তন করা হয়না । এ এক পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মহা প্রহসন বলে আমি মনে করছি ৷
এমন অপ্রত্যাশিত ও আইন বহির্ভূত বিদ্যুৎ সংযোগ কর্তনের বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ তারাকান্দি অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ডি, জি এম স্যারকে বলেন, আমি কিছু বলতে পারবোনা ৷