আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’আদাত-উল-করীম: একটানা তৃতীয় বার ক্ষমতায় থাকা বর্তমান সরকার ২৭৩০ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাপান আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার আলী জুয়েল তরফদার।
তিনি এমপিওভূক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ এবং এমপিওভূক্ত নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভিনন্দন জানান। এটা দীর্ঘদিনের একটা চাহিদা ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের এই চাহিদা পূরণ করলেন।
জাপান আওয়ামী লীগের এই জুলফিকার আলী জুয়েল তরফদার এই প্রতিবেদককে টেলিফোনে জানান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে, বাজেট বৃদ্ধি করে শিক্ষা খাতে সর্বাধিক ব্যয় বরাদ্দ করেছে, যাতে করে শিক্ষাকে আধুনিক এবং বিজ্ঞানসম্মত করে যুগের চাহিদা মোতাবেক প্রযুক্তিনির্ভর করে তোলা যায়। সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে এবং ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে ঘরে বসে উপার্জনের জন্য তার সরকারের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং কর্মসূচি’ চালু, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থাকে শিক্ষার মূলধারায় সম্পৃক্ত করা এবং শিক্ষা সম্প্রসারণ ও যুগোপযোগীকরণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা অপরিসীম।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বুধবার নতুন ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিভূক্ত হলো। গত ১ জুলাই থেকে অর্থাৎ অর্থবছরের শুরু থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সর্বশেষ ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করেছিল বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। এমপিও তালিকাভূক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের বেতনের একটি অংশ সরকার থেকে পান। এ জন্য প্রথমে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তালিকাভূক্ত করা হয় এবং শর্ত পূরণের ভিত্তিতে সেই প্রতিষ্ঠানের যোগ্য শিক্ষকরা এমপিও তালিকায় আসেন। ঘোষিত ২ হাজার ৭শ’ ৩০টি এমপিওভূক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩৯টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯৯৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯৩টি কলেজ, ৫৬টি ডিগ্রি কলেজ, ৫৫৭টি মাদ্রাসা এবং ৫২২টি কারিগরি শিক্ষা ইনস্টিটিউশন রয়েছে।