
মো. আক্তার হোসেন, প্রতিনিধি :
কুমিল্লার হোমনায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো নীপা রানী দাস (১৩) নামের ৭ম শ্রেনির ছাত্রীর বাল্যবিবাহ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর পৌরসভার বাগমারা গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপ্তি চাকমা । সে হোমনা কফিল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ও বাগমারা গ্রামের সুকুমার দাসের মেয়ে । এ সময় ইউএনও’র সঙ্গে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া ভূঁইয়া , থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কায়েস আকন্দ ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।
এ বিষয়ে ইউএনও তাপ্তি চাকমা বলেন – সন্ধ্যার পর গোপন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাগমারা গ্রামে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হচ্ছে খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া ভূঁইয়া এবং থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কায়েস আকন্দ ও তার সঙ্গীয় ফোর্স সাথে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে মেয়েকে দেখে বয়স কম মনে হওয়ায় ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ আইন অনুযায়ী পিইসিই সার্টিফিকেট , বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ভর্তি বহির বিবরণ ও প্রত্যয়ন পত্র দেখে যাচাই করে মেয়েটির বয়স মাত্র ১৩ বছর হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেই । তবে সামাজিক ও মানবিক দিক বিবেচনা করে ৫০ হাজার টাকার বন্ডে ১৮ বছর পূর্বে বিয়ে দিবে না মর্মে মেয়েটির মা মঞ্জুরী দাস ও এক চাচার লিখিত মুচলেকা পেয়ে ছাড়া হয়।