দিলীপ কুমার দাস, জেলাপ্রতিনিধি, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে আর ফিরে আসেনি আদিবাসী কি’শোরী কথা চিসিম (১৬)। ঘটনার পর ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও খোঁ’জ মেলেনি ওই কি’শোরীর। পরিবার বলছে নি’খোঁজ নয় অ’পহরণ করা হয়েছে কথা চিসিমকে। এ ঘটনায় শুভরানা নামের এক কি’শোরকে দায়ী করছে ভূক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ৪ নম্বর সদর ইউনিয়নের রাংরাপাড়া এলাকায়। নিখোঁজ ত’রুণী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোবরাকুড়া এলাকার মৃত প্রদীপ দারিং এর মেয়ে। নি’খোঁজের ৩ দিন পর ওই তরুণীর মা কবিতা চিসিম গত ১১ জুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন সকালে নিকটস্থ রাংরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যাবার কথা বলে আর ফিরে আসেনি কথা। কথা ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার ফিরে না আসার ব্যাপারে এলাকার বেশ কয়েকজনকে সন্দেহ করলেও পরে বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা করে উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের বাঘাইতলা বাজারের সাইফুল ইসলামের ছেলে শুভরানা (১৬) নামে এক কি’শোর কে সন্দেহ করে ভূক্তভোগী পরিবার। এ বিষয়ে পরিবার থানা পুলিশকেও অবহিত করেছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে কি’শোরীর মা কবিতা চিসিম বলেন, এখন পর্যন্ত আমার মেয়ের কোন হদিস মেলেনি। অ’পহরণ করা হয়েছে নাকি অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে তাও তাদের জানা নেই। মেয়েকে ফিরে পাবার ব্যাপারে থানা পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সন্দেহভাজন কি’শোরের এলাকার অনেকে বলছেন, নি’খোঁজের ২ দিন আগেও তারা শুভরানা’কে মোটরসাইকেলে করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে দেখেছেন। তবে অ’পহরণ নয়, প্রেমসংঘটিত বিষয় হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শুভরানার বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, ওই আদিবাসী কিশোরী নি’খোঁজের পর থেকে তাকে আর এলাকাতে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান খান বলেন, নি’খোঁজের বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। মেয়েটি উদ্ধারের ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তবে এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে অ’পহরণ মামলা করা হয়নি।