
ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার নারানকান্দি গ্রামে নির্যাতন পরবর্তী মৃত্যুর ঘটনায় শ্বশুর আইয়ুব আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সাথে উদ্ধার হয়েছে সখনা খাতুন (২০) নামে এক অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধূর লাশ। তিনি নারানকান্দি কারিকর পাড়ার মাসুদ শেখের স্ত্রী ও কুষ্টিয়ার ইবি থানার রাধানগর গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। সখনার মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসীর ভাষ্য ,তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী, শাশুড়িসহ বাড়ির সবাই পলাতক থাকায় গুজব সত্য হতে চলেছে।
গ্রামবাসী জানিয়েছে, যৌতুকের জন্য প্রায়ই সখনার ওপর নির্যাতন করতো শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মঙ্গলবার বিকালে নির্যাতনের পর অসুস্থ হয়ে পড়ে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা সখনা খাতুন। এরপর তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
সখনার পিতা রবিউল ইসলামের দাবি, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত সখনার স্বামী মাসুদ, শ্বশুর আইয়ুব, শাশুড়ি সাইমিনা খাতুন, জাহানারা ও সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হরিণাকুন্ডু থানার এসআই আলমগীর হোসেন জানান, আমরাও শুনেছি সখনা খাতুনকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।
হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, মৃত সখনার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে যৌতুকের কারণে তাকে মারধর করা হতো বলে বাদীর অভিযোগ। তিনি বলেন, হরিণাকুন্ডু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আইয়ুব আলী শেখ নামে এক আসামী গ্রেফতার হয়েছে। বাকি আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।