শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জেলা পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলামের দিঙ নির্দেশনায় সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহীল জামানের পরিচালনায় প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় শারীরিক কসরত অনুষ্ঠিত হয়। কাকডাকা ভোরে পুলিশের হাঁকডাক আর হৈচৈ শুনে ঘুম ভেঙে যায় প্রতিবেশীদের। অনেকেই ছুটে যান থানার আশপাশে, না, অন্যকিছু নয়। দল বেঁধে শারীরিক কসরত করছেন সাদা পোশাকে একদল পুলিশ। প্রতিদিন ভোরে এমনই ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে সুন্দরগঞ্জ থানা চত্বরে। করোনা পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শারীরিক সক্ষমতা ধরে রাখতে নতুন নিয়মে ফিরেছে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ। এই জন্য এখন থেকে প্রতিদিন একঘন্টা শারীরিক কসরত করবেন পুলিশের প্রতিটি সদস্য। এমন নিয়ম ৬ তারিখ শনিবার ভোর থেকে চালু হয়েছে সুন্দরগঞ্জ থানার শারীরিক কসরত। থানার প্রতিটি পুলিশ সদস্য ঘণ্টাব্যাপী এই শারীরিক কসরতে অংশগ্রহণ করেন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যরাও স্ব -স্ব স্থানে শারীরিক কসরতে অংশগ্রহণ করেন ।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো.তৌহীদুল ইসলাম জানান, রংপর রেঞ্জের ডিআইজি মহোদয়ের নির্দেশে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যাবে। পুলিশ সুপার আরো জানান, মূলত করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশের জন্য এটি খুবই কার্যকরী পদক্ষেপ। এমন অবস্থায় এখন থেকে জেলার প্রতিটি পুলিশ সদস্য স্ব- স্ব থানায় শারীরিক কসরতে অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানান পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত, দেশের করোনা পরিস্থিতিতে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে অন্যদের মতো পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে বিপুলসংখ্যক পুলিশ করোনায় আক্রান্ত হয়ছেন। বর্তমানে তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।