
শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর ডি.ডি.এম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে ২ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। এমপিওভুক্তির জন্য উভয়ের মধ্যে চলছে আইনি লড়াই। কে হবে প্রধান শিক্ষক এনিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে মামলা -হামলা। গত ১৫ জুলাই মঙ্গলবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন,গত ৯ /৪/২০১১ ইং তারিখে সরকারি বিধি অনুসরণ পূর্বক ধর্মপুর ডি.ডি.এম উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে যথা নিয়মে স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনা করাকালিন নতুন কমিটি গঠনে নির্বাচন হয়। নির্বাচিত কমিটি ক্যাবিনেটে বসেই প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন এবং নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে বহিষ্কার করেন। তার স্থলে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়ে মোটা অঙ্কের নিয়োগ বাণিজ্য করেছে বলে জানান। শরিফুল ইসলামের সঙ্গে শিক্ষক স্টাফের মনোমালিন্য ও কমিটির লোলুপ দৃষ্টির কারণে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে না পারায় আইনের আশ্রয় নেন। মহামান্য হাইকোর্ট শরিফুল ইসলামের নিয়োগ বৈধ ঘোষণা করে এমপিওভুক্তিসহ বকেয়া বিল পরিশোধের আদেশ প্রদান করেন । জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করলে মামলাটি মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়ে পূর্বের আদেশ বলবৎ রাখেন। কর্তৃপক্ষ কোর্ট অর্ডার অমান্য করে বিপক্ষ দলের সঙ্গে আঁতাত করে কালক্ষেপন করছেন। শরিফুল ইসলাম দীর্ঘ দিন মামলা মোকাদ্দমায় সহায়সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব । অন্যদিকে এমপিওভুক্তিসহ বেতন না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে সরেজমিনে তদন্ত করে ২ প্রধান শিক্ষকের মধ্যে বৈধতা যাচাইপূর্বক এমপিওভুক্তিসহ বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা ও কোর্ট আাদেশ অনুযায়ী বিল ছাড় দেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবার।