
তৌকির আহাম্মেদ হাসু সরিষাবাড়ী(জামালপুর)প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাদ্রাসার জমি দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নিমার্ণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের গাড়াডোবা সিরাতুন্নবী আলিম মাদ্রাসার জমিতে ঘটেছে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের গাড়াডোবা সিরাতুন্নবী আলিম মাদ্রাসার নামে বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তিদের দান করা ও মাদ্রাসার নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয় করা ১ একর ৫৪ শতাংশ ভূমি আছে। এর মধ্যে ঢাকা, সেগুনবাগিচা ৭ অঞ্চলের কর্মরত কাস্টমস ইন্সপেক্টর ও গাড়াডোবা সিরাতুন্নবী আলিম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলালের ভাতিজা সেজনু মিয়া ৩ শতক জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করছে। অপরদিকে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও স্থানীয়দের নামাজের জন্য নির্মিত মসজিদের জায়গা অবৈধ দখলের পাঁয়তারা করে সেখানে (মিনার সংলগ্ন) সেজনু মিয়া নিজস্ব টয়লেটের ট্যাংকি স্থাপন করছে । এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা, শিক্ষক -শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে এলাকার সোলায়মান হোসেন ছোটন, ইসমাইল হোসেন, কামরুল হাসান বলেন, একই ব্যক্তি মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে দাপটের সাথে নিয়ম বর্হিভূতভাবে মসজিদ ও মাদ্রাসার জমি নামমাত্র ৪৫ হাজার টাকায় লীজ দিয়েছে। লিজকৃত জমিতে কীভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা অবৈধ দখলদারের হাত থেকে মসজিদ ও মাদরাসার জমি উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।
ঢাকা, সেগুনবাগিচা ৭ অঞ্চলের কর্মরত কাস্টমস ইন্সপেক্টর ও মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদ্রাসার জমি ৪৫ হাজার টাকায় ৯৯ বছরের জন্য লীজ দেওয়া হয়েছে তাই ওই জমিতে ভবন তৈরি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলালের ভাতিজা সেজনু মিয়া কীভাবে মাদ্রাসার জমি লীজ নিল আমি জানি না। তিনি আরও বলেন, লিজ নেওয়া জমিতে বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা আইনত ঠিক হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হককে মোবাইল ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, কাগজপত্র দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।