
তৌকির আহাম্মেদ হাসু ,সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি :
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পরকীয়া করতে গিয়ে প্রেমিক ধরা পড়ে পুলিশের নিকট মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পাওয়ার পরদিন গ্রাম্য সালিশে প্রেমিকের পিতার মুচলেকাসহ প্রেমিককে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন গ্রাম্য মাতাব্বরগণ। ঘটনাটি উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডিগ্রীবন্দ মধ্যে পাড়া গ্রামে রোববার রাত ১ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটেছে।এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মজিবর রহমান এর ছেলে রবিউল ইসলামের সাথে একই গ্রামের পাশের বাড়ীর সাবেক বিডিআর সদস্য মতিউর রহমান এর পুত্র বিডিআর সদস্য সুমন মিয়ার স্ত্রী ২ সন্তানের জননী মমতাজ আক্তার মায়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল ২০০৯ সাল থেকে।ওই সর্ম্পকের ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সাল থেকে প্রেমিকা মমতাজ আক্তার মায়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গভীর হলে দু’ জনের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই গভীরতায় প্রেমিক রবিউল ইসলামের নিকট থেকে বিভিন্ন সময় মোবাইলে বিকাশে টাকা নিয়ে আসছিল বলে রবিউল ইসলাম জানায়। তাদের দু ’জনের গভীর সম্পর্কের টানে রোববার রাত ১ টায় মমতাজ আক্তার মায়া তার মোবাইল ফোন থেকে রবিউল ইসলামকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় তার বাড়ীর শয়ন কক্ষে। এ সময় মায়ার শ্বশুর মতিউর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন টের পেয়ে মায়ার ঘরের দরজা খুলতে বলেন। পরে মায়া দরজা খুললে তার শয়ন কক্ষে রবিউল ইসলামকে দেখে সরিষাবাড়ী থানায় খবর দিলে পুলিশের এস আই ঘটনাস্থলে গিয়ে এক সমঝোতায় রবিউল ইসলামের নিকট থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।এ ঘটনায় সোমবার(৩০ মার্চ )সকাল ১১ টায় ডিগ্রীবন্দ গ্রামের মধ্যে পাড়া গ্রামের মতিউর রহমান এর বাড়ীতে এক গ্রাম্য সালিশ অনুিিষ্ঠত হয়েছে। গ্রাম্য সালিশে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক স্বপন এর সভাপতিত্বে স্থানীয় সমাজ সেবক , আব্দুল কাদের,আলম মিয়া,লাভলু মিয়া,আলমগীর হোসেন মাস্টার, আব্দুল জলিল, আল আমিন,শামছুল হক মহুরী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গ্রাম্য সালিশের এক সিদ্ধান্তে রবিউল ইসলামের পিতা মজিবর রহমানের ছেলের অপকর্মের দায় ঢাকতে মুচলেকা দিয়েছেন। সালিশে ভবিষতে অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকাসহ এলাকা থেকে সরে থাকার জন্য রবিউল ইসলামকে নির্দেশ দিয়েছে গ্রাম্য সালিশের মাতাব্বরগণ। লম্পট রবিউল ইসলাম ব্যুরো বাংলাদেশ নামে একটি এন জিওতে কর্মরত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মমতাজ আক্তার মায়ার শ্বশুর মতিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- লম্পট রবিউল ভবিষতে অপকর্ম করবে না এবং এলাকায় থাকবেনা বলে গ্রাম্য সালিশে এক সমঝোতা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সালিশের মাতাব্বরগণ।ওই লম্পট রবিউলের বিচার হওয়া দরকার ছিল কিন্তু করতে পারলাম না।
অভিযুক্ত প্রেমিক রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মমতাজ আক্তার মায়ার সাথে দৈহিক সম্পর্কের কারণে আমার নিকট থেকে বিভিন্ন সময় বিকাশে টাকা পয়সা নিতো। তিনি আরও বলেন, আমাকে ৪ মাসের মধ্যে বিয়ে করবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়াও মায়ার বিয়ের শর্ত হিসেবে ধনবাড়ীতে জমি কিনে বাসা বাড়ী করার পর তাদের দু’ জনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় মাতাব্বর আব্দুর রাজ্জাক স্বপন বলেন, পক্ষদ্বয়ের মধ্যে দোষ-ত্রুটি রয়েছে। আমরা বিষয়টি সমঝোতা করে দিয়েছি। তিনি আরোও বলেন,আপাতত লম্পট রবিউল ইসলামকে এলাকা ছেড়ে দূরে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন,এ বিষয়টি আমার জানা নেই।