আল মাসুদ, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
শেখ হাসিনা সরকার নিয়ে বেশি আলোচনা করতে চাই না। আগামী দিনে বাংলাদেশের পদ বিনির্মাণের জন্ শেখ হাসিনার রাজনীতি নিয়ে মানুষের কাছে বলবো, শেখ হাসিনার যে রাজনৈতিক কলাকৌশল সেটা কী পর্যবক্ষণ করলে দেখা যায় শেখ হাসিনার রাজনীতি দু’টি মূলনীতির উপর। প্রথম রাজনৈতিক দর্শন ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল বাংলাদেশের মানুষ যে বাকশালের দ্বারা নি’পীড়িত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে বেশি যুবকের প্রা’ণহানি হয়েছে ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত।
তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে আমার মায়ের সন্তানদের হ’ত্যা করেছিল পাক হানাদার বাহিনীরা। ৭১ থেকে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমার ত্রিশ হাজার মায়ের বুক এবং কোল খালি করেছে বাকশালীরা। এই বাকশাল ছিল শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল। সেই বাকশালের হ’ত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সংঘটিত হয়েছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট। সেখানে নারী, পুরুষ ও শিশু হ’ত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল। সেটার জন্য আমরা সমবেদনা জানাই। কিন্তু কথা হল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট কেন তৈরি হয়েছিল, কেন ৩০ হাজার মায়ের কোল খালি হয়েছিল, কেন সিকদারগণকে হ’ত্যা করা হয়েছিল। কেন স্বাধীন বাংলাদেশে এভাবে ক্রসফায়ারের অশুভ সংস্কৃতি চালু করে, রাষ্ট্র যন্ত্রের নি’পীড়নে সাধারণ মানুষকে হ’ত্যা করা হয়েছিল। সেই প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে ৫০ বছর মায়া কান্না করে গেলেন। কেন আপনার ভাইয়ের রক্তের দাম আছে, এদেশের ৩০ হাজার ভাই বোনের রক্তের দাম আপনার কাছে না থাকলে, এদেশের মানুষের কাছেও আপনার বাপ- ভাইয়ের রক্তেরও কোনো দাম নাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মুহাম্মদ মামুনুল হক, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলার উদ্যোগে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ-সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন।
মহাসচিব বলেন, ‘এই প্রতিশোধ তিনি কার কাছ থেকে নিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে, এই জাতির কাছ থেকে। এজন্যই বিশ্ব দরবারে কোনোদিন তিনি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেন নাই, তার সমস্ত আয়োজন সার্থক করেছেন। দেশটাকে স্বাধীন রাখতে চান নাই। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি আর একটা দেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। আর এই জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিতকে ধসিয়ে দিয়ে, এই স্বাধীন দেশ ও জাতিকে একটি কলঙ্কিত জাতি করতে চেয়েছিলেন। মেগা মেগা প্রকল্পের নামে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা মেগা দু’র্নীতি করে বাংলাদেশটাকে খোবলা করে দিয়েছেন। কলা খেয়ে খোসা যেমন ফেলে দেয়, ঠিক তেমনি শেখ হাসিনা বাংলাদেশটাকে চুষে খেয়ে কোনো রকম ১৬ টা লাগেজ ভর্তি করে সর্বশেষ যা ছিল তা নিয়ে নিজের বোনটাকে বগলদবা করে হেলিকপ্টারে উড়ে নরেন্দ্র মোদির ঘরে গিয়ে পড়েছেন।’
জেলা খেলাফতে মজলিসের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ তুহিন এর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মো:ওমর ফারুক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পঞ্চগড় জেলা শাখার আমির মাওলানা ইকবাল হোসেন প্রমুখসহ বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।