মোঃ তৌহিদ হাসান, শিবগঞ্জ, বগুড়া প্রতিনিধি:
শীতকালকে বলা হয় সবজির মৌসুম।
চলতি বছরে অতিবৃষ্টি ও বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে বগুড়ার শিবগঞ্জের কৃষকরা। অতিবৃষ্টি ও বন্যায় এ বছর আগাম সবজি চাষে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। যে সময় শীতকালীন আগাম সবজি জমি থেকে তুলে বাজারে বিক্রির কথা, সে সময় সবজির চাষের জন্য জমি প্রস্তুতের কাজ করছেন চাষিরা। ফলে শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষকেরা লোকসানের পাশাপাশি শীতকালীন সবজি চাষের মৌসুম থেকে পিছিয়ে পড়েছেন। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নানা জাতের সবজি চাষ করেছেন কৃষকরা। বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে চাষ করা হচ্ছে, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, করল্লা, বেগুন, মূলা, লাউ, পটল, বরবটি, গাঁজর, শসা, পালং শাক, লাল শাকসহ হরেক রকম আগাম শীতকালীন সবজি। এছাড়া কৃষি শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে জমি চাষ, শাক-সবজি রোপণ ও তোলা, কীটনাশক স্প্রে, সার ছিটানো ও জমির আগাছা পরিষ্কার করছেন কৃষকরা। তবে অনেকেই আগাম শীতকালীন সবজি বাজারে আনার চেষ্টাও করছেন।
কৃষকরা জানান, এ বছর অতিবৃষ্টি ও বন্যায় শীতকালীন সবজি চাষের মৌসুম থেকে পিছিয়ে পড়েছেন। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। বাজারে সবজির দাম ভালো থাকায় বেশি লাভবান হবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের(পার আঁচলাই) গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘৫০ শতাংশ জমিতে শসা নিয়ে সবজি চাষ করছি। এ বছর শীতকালীন সবজি চাষ বৃষ্টি ও বন্যার কারণে উপযুক্ত সময়ে করতে পারি নাই, তারপরও শুরু করেছি। বাজারে যেহেতু সবজির দাম ভালো সেহেতু এ শীতকালীন সবজি চাষে লাভবান হব।’
মোকামতলা ইউনিয়নের (পার আঁচলাই) গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান জানান, ‘আমি কয়েকটি জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করছি, তবে সঠিক সময়ে করতে পারি নাই। তারপরেও আশা করি, সবজি বিক্রিতে প্রচুর লাভবান হবো ।’
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর এর তথ্য মতে,চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৫০হেক্টর। এর মধ্যে প্রায় ১০৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হচ্ছে। এ বছর শসা চাষ হচ্ছে প্রায় ২৬০হেক্টর জমিতে।
শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, ‘কৃষকদের সবজি চাষে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। বর্তমানে সিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, করল্লা, বেগুন, মূলা, লাউ, পটল, বরবটি, গাঁজর, শসা, পালং শাক, লালশাকসহ হরেক রকম আগাম শীতকালীন সবজি আবাদ চলছে।’