মো. সাইফুল্লাহ খাঁন,জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর :
রংপুরে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মামুনুর রহমানের মা মোছা: মতিউন নেছা এই অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তার মা মতিউন নেছা জানান, গত ২০০৯ সালে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পান্তাপাড়া এলাকার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনছুর আলী মন্ডলের কনিষ্ঠ কন্যা মাফরুহা আক্তার ইতির সাথে মানুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় । বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই মাফরুহা আক্তার ইতি স্বামী ও পরিবারের কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছেমত চলাফেরা করতে থাকেন। পরিবারের সামান্য বিষয় নিয়ে ইতি কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যান। এক পর্যায়ে সে পরিবার ও স্বামীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন। এর মধ্যে মামুনুর রহমানের সংসারে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে ছেলের বৌকে মেনে নেই।
মীসাংসার পরেও ছেলে বৌ ইতি স্বামীকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এক পর্যায়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মামুনুর রহমান একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে মামুনুর রহমান ২২জুন তারিখে এফিডেভিটের মাধ্যমে ইতিকে তালাক দিয়ে দেন মোহরের দুইলাখ ৫১ হাজার ১শ’ ১টাকা মানি অর্ডার করেন। কিন্তু ইতি দেনমহর গ্রহণ না করে উল্টো মামুনুর রহমানের নামে নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে মতিউন নেছা আরও জানান, ইতির পিতা ও আত্মীয় স্বজনরা আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিসহ মিথ্যা মামলার হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন পূর্বক প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
ব্যাংক কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন সন্তানের কথা চিন্তা করে সংসার করেছি। আমি বাধ্য হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে আইন মেনে বৌকে তালাক দিয়েছি। এর পরেও তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাফরুহা আক্তার ইতি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ভালোবেসে বিয়ে করি মামুনুর রহমানকে । চাকুরীর সুবাদে স্বামীর সাথে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করি। স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করে তার পরিবার। সামান্য বিষয়ে তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তাই আমি বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।