মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : রংপুরে এক নারী সাংবাদিককে অন্যায়ভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ী দেখিয়ে আটক ও ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার ২১জুন দুপুরে রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন-ডিবি পুলিশের হাতে আটক নারী সাংবাদিক মনিশা মৌ এর মা সামসুন্নাহার বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত রবিবার রাত ৮টার দিকে আমার কন্যা মনিশা মৌ নগরীর মুলাটোল এলাকা থেকে নিজ বাড়ি রাধাবল্লভ এলাকায় রিকশাযোগে যাওয়ার পথে কেরামতিয়া মসজিদের সামনে ৫/৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছে আমের ব্যাগ ছিল। অথচ আটককারীরা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মনিশাকে জোরপূর্বক রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার মেয়ের আটকের বিষয়টি জানতে পারি। তার সাথে ইয়াবা রয়েছে এমন দাবি করে দফায় দফায় ০১৬১০-৬১৫৬৯০ মোবাইল ফোন নম্বর থেকে আমার ব্যবহৃত ০১৩০২-১৫৫০৭০ নম্বরে কল করে বিকাশে টাকা দাবি করে আসছে। সারারাত ডিবি কার্যালয়ে আমার মেয়েকে রাখা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে শুধু বিকাশে টাকা চান। তিনি ০১৮৩৭-৫২৯৯২০ নম্বরের একটি পার্সনাল নগদ নম্বরও দিয়েছেন। এ অবস্থায় পুলিশ পরিচয়দানকারী ব্যক্তির দাবিকৃত ৩০ হাজার টাকা না দিলে বিভিন্ন মামলায় আমার মেয়েকে জড়িয়ে চালান দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। দাবিকৃত টাকা প্রদান করা না হলে কয়েক মিনিটের মধ্যে তাকে চালান দেওয়া হবে বলে কয়েক দফা হুমকি প্রদান করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকায় কর্মরত রয়েছে জানার পরও তারা কোন কর্ণপাত করেনি, উল্টো তার কাছ থেকে ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে অপপ্রচার চালায়। পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবিকারী ব্যক্তিদের শনাক্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ মিথ্যা মামলা থেকে মেয়েকে অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানান অসহায় মা।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধরন সম্পাদক রণজিৎ দাস, সাংবাদিক রবিন চৌধুরী, সুমন ইসলাম, মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, সাকিব হোসেন,বেলায়েত হোসেন বাবু,আল শাহরিয়ার জিম, আপেল মাহমুদ, রিয়াদ ইসলামসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।