
প্রতীকী ছবি।
মোঃ সাইফুল্লাহ খান, জেলা প্রতিনিধি, রংপুর:
মিঠাপুকুরে এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেইসাথে ধর্ষণের ঘটনায় গোপন শালিশের মাধ্যমে জরিমানা বাবদ নেয়া ৪০ হাজার টাকা ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দিলসাদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের পুর্বমামুদের পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মিয়ার প্রতিবন্ধী মেয়ে স্থানীয় মোসলেম বাজার থেকে সন্ধ্যায় বাড়ী ফেরার পথে একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মোতালেব নিয়া তাকে একা পেয়ে নিকটস্থ নেপিয়ার ক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। চিকিৎসা গ্রহণের ৩দিন পরে ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে পরিবারের লোকজন বাসায় নিয়ে আসেন। চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দিলসাদ হোসেনের ইলেক্ট্রনিক্স পন্যের শো’রুমে একটি গোপন শালিস বৈঠক করে ধর্ষনকারীর কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা আদায়পূর্বক শালিসে উপস্থিত প্রভাবশালীদের খরচ বাবদ ১৫ হাজার টাকা কেটে নেয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ মোতালেব মিয়া মারাত্মক অন্যায় করেছে যার শিকার এই প্রতিবন্ধী নারী। আমরা উপযুক্ত বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু ইউপি সদস্য টাকার লোভে এমনটি করেছেন। এখন আমরা ধর্ষক ও ইউপি সদস্য উভয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি যাতে সমাজের আর কেউ এমন জঘন্য কাজ করার সাহস না পায়।
চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম টুটুল বলেন, ধর্ষিতার পরিবার আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেই। এখন তারা যদি বিচার শালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে তাহলে আমার করার মত কিছুই থাকেনা।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাফর আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।