জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ দেশের অন্যতম নদীর মধ্যে মাতামুহুরী নদীও একটি।কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউপির (বেতুয়া বাজার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত মাতামুহুরী নদী।এ নদীতে মানব সৃষ্ট গর্তের কারণে নদী গর্ভের পানির স্রোতে ক্রমান্বয়ে বিলীন হচ্ছে বিএমচরের বেতুয়া বাজারের অর্ধশত বছরের পুরানো মসজিদ।রক্ষা-কবচ হিসেবে দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে গেলে দেখা ও জানা যায়,মাতামুহুরী নদীর ওপর সৃষ্ট বিশাল বেতুয়া ব্রীজ।এ ব্রীজের লাগোয়া পশ্চিম পাশে নদী সংলগ্ন পাহাড়ের চূড়ার ওপর বেতুয়া বাজারের পূর্ব বেতুয়া বায়তুর রহমান নামের অর্ধশত বছরের পুরানো জামে মসজিদ।এ মসজিদের দৃশ্য দেখলে মনে হয় যেন মানবশূন্য এলাকা।না হয় কেন মসজিদটি নদীতে ক্রমান্বয়ে বিলীন হচ্ছে।ইতোমধ্যে এ মসজিদের আঙিনা,বারান্দা পর্যন্ত ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।পাশাপাশি উক্ত পাহাড়ের ওপরে থাকা শত বছরের বসবাসরত ঘর-বাড়িও হুমকির মুখে।এছাড়া নদী সংলগ্ন ফসলি জমিও নদীতে পরিণত হতে যাচ্ছে।বিশেষকরে মসজিদের সামনে থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রভাবশালীরা বালি উত্তোলনের ফলে বর্ষা মৌসুমের পানির স্রোতে ২/১ বছরে মসজিদের করুণ দশা হয়েছে।এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ না হলে অনতিবিলম্বে মসজিদটি সম্পূর্ণ নদীতে মিশে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি বলেন,মসজিদটির জায়গা,ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি ২/১ বছরের মধ্যে বালি উত্তোলনের ফলে নদীতে বিলীন হলেও মুখ ফুটে বলা সম্ভব নয়।এছাড়া বর্ষা আসলে আর মসজিদে যাওয়া যায় না।কারণ পথ-ঘাট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।আমরা মসজিদ রক্ষার জন্য মাননীয় এমপি মহোদয়ের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি মসজিদ বিলীনের বিষয়ে এমপিকে জানিয়েছি।পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা চেয়েছিলাম।পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সামান্য সহযোগিতা পেয়েছি।তবে এই কাজটি নাকি সংশ্লিষ্ট সওজ কর্তৃপক্ষ ব্রীজের গাইড ওয়ালের কাজের মতো করে রক্ষার কাজ করবে।কিন্তু কখন কাজ করবে নিদিষ্ট বলতে পারছি না।এরপরও আমি আবারো এমপি মহোদয়ে শরাপন্ন হব।