রফিকুল ইসলাম : রবিবার সকালের দিকে বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভি’র কুষ্টিয়াস্থ ক্যামেরা পারসন সারফু দৌলতপুরে একটা প্রোগ্রামে গিয়েছিল। কুষ্টিয়া ফেরার পথে কুষ্টিয়ার বাইপাস ও ত্রিমোহনীর মাঝামাঝি জায়গায় সড়কের ওপর একটা ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে সেটা তুলে নেয়। আশেপাশে তিনি কাউকে দেখতে না পেয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ব্যাগটা নিয়ে এক হাতে উঁচু করে নিয়ে খুব ধীরগতিতে ত্রিমোহনী পর্যন্ত আসেন। এরপর তিনি ব্যাগটি খুলে দেখেন এর ভিতরে একটি ৫শত টাকার বান্ডিল ও বেশ কিছু কাগজ পত্র আছে। এরপর তিনি সরাসরি কুষ্টিয়ায় চলে এসে এনটিভি’র কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলী’র বাসায় আসেন এবং ব্যাগের বিষয়টি তাকে অবহিত করেন। সবকিছু শুনে শ্যামলী ব্যাগটি সারফুকে খুলতে বলে। সারফু ব্যাগটি খুললে ব্যাগের ভিতরে থাকা ৫০ হাজার টাকা, তিনটি চেক বই, একটি ক্রেডিট কার্ড, ড্রাইভিং লাইচেন্স, মোটর সাইকেলের অরিজিনাল কাগজ ও জমির দলিলসহ আরও অনেক গুরুত্বপুর্ণ কাগজপত্র দেখতে পান। এসব দেখার পর শ্যামলী তাৎক্ষণিক সারফুকে বলে যার ব্যাগ তাকে ফেরত দিতে হবে। এবিষয়ে তিনি কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব (কেপিসি) এর সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবকে বিষয়টি অবহিত করেন। অতঃপর বিকাল ৫টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান এর কক্ষে ব্যাগটি নিয়ে গেলে তিনি কাগজ পত্র দেখে ব্যাগটির মালিক মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া এলাকার মাহামুদুল হাসান বলে নিশ্চিত করেন। ব্যাগের মালিক মাহামুদুল হাসানের ড্রাইভিং লাইচেন্সের মাধ্যমে বিআরটিএ অফিস থেকে তার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাহাবুলকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন, মাহামুদুল হাসানকে তার হারিয়ে যাওয়া ব্যাগে থাকা টাকা ও সমস্ত কাগজ পত্র তাকে ফেরত দেন।
পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ব্যাগের মালিক সারফুকে নগদ ১০হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন।