crimepatrol24
২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ২:৫১ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

বেকারত্ব ঘুচাতে রংপুরের তরুণদের আগ্রহ ফ্রিল্যান্সিংয়ে

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ ৮:৩৯ অপরাহ্ণ
বেকারত্ব ঘুচাতে রংপুরের তরুণদের আগ্রহ ফ্রিল্যান্সিংয়ে

 

 

রংপুর ব্যুরো :

রংপুরে ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সিং বা বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাজ করে আয়ের উপায় করেছেন আবু সায়েম নামের এক তরুণ। শুধু তিনি নিজেই নন, প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা অন্যদেরও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি। তার দেখানো পথে হেঁটে এলাকার এক হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণী স্বাবলম্বী হয়েছেন। এখন তাদের অনেকেরই আয় মাসে ৭০-৮০ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। আর সায়েমের বাৎসরিক আয় ১০ লাখের কাছাকাছি।

আবু সায়েম রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। তার বাবা ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। মা আরজিনা বেগম গৃহিণী। চার বোন ও দুই ভাইয়ের সংসার তাদের। এরমধ্যে সায়েম ভাই-বোনদের মধ্যে পরিবারে পঞ্চম। বাবা মারা যাওয়ার পর সর্বস্বান্ত ছিল পুরো পরিবার। তখনই কিছু করার ইচ্ছে থেকে ঝুঁকে পড়েন ইন্টারনেটে। সারাদিন গুগল ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সাইট ঘেটে ঘেটে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ধারণা রপ্ত করতে থাকেন।

সায়েমের দাবি, ২০১৬ সালে ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন। শুরুর অভিজ্ঞতাটা খুব ভালো ছিল না। নিভৃত গ্রামে একবুক স্বপ্ন নিয়ে নিজের নামে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেন। তখন প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ জন। নেটওয়ার্ক সমস্যা আর প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা কম থাকায় কিছুটা বেগ পেতে হয় সায়েমকে, তবে হাল ছাড়নেনি। পড়াশোনাসহ ব্যক্তিগত কারণে পরের বছরই শহরে পা রাখেন সায়েম। এরপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। দীর্ঘ ছয় বছরের কঠোর পরিশ্রম করে এখন তিনি সফল।

রংপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী আবু সায়েম বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয় নিয়ে সপ্তম সেমিস্টারে পড়ছেন। ২০১৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৩১ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০১৫ তে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় তার ফল ছিল জিপিএ-৩.৫০। কোনো প্রশিক্ষক ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং রপ্ত করা সায়েমের ইচ্ছে পড়াশোনা শেষে চাকরি হিসেবে শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নিবেন।

ফ্রিল্যান্সার আবু সায়েম বলেন, পরিবারে আমরা দুই ভাই ও চার বোন। এরমধ্যে আমার দায়িত্ব একটু বেশি। পড়াশুনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং থেকে আমার আয়ের পথ খুলেছে। এখন মাসে আয় লাখের কাছাকাছি। তবে বছরশেষে প্রায় ১০ লাখ আয় করছি। ফ্রিল্যান্সিংয়ের আয় থেকে পরিবারের দেখভাল ও ছোট ভাইয়ের পড়ালেখার খরচ চালাচ্ছি। ইতোমধ্যে বোনের বিয়ে দিয়েছি। গঙ্গাচড়াতে পাঁচ শতক জমিও কিনেছি।
বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখার আগ্রহের কথা জানান এই তরুণ। তিনি আরও বলেন, বেকারত্ব একটা অভিশাপ। আমি চাই এ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং শিখুক। শুধু পড়াশোনা না করে পড়ালেখার পাশাপাশি কিছু করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং সুবিধা নেওয়া উচিত। প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করতে পারলে বেকারত্ব ঘুচানো সম্ভব। তাছাড়া বেকারত্ব ঘুচাতে রংপুরে তরুণদের আগ্রহ বেড়েছে ফ্রিল্যান্সিংয়ে।এখন শহরের পাশাপাশি সায়েম তার নিজের গ্রামের তরুণদের আবারো ফ্রিল্যান্সিং শেখাতে শুরু করেছেন। রংপুর বিভাগীয় নগরীতেও নিজের নামে গড়ে তুলেছেন দুটি ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখান থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), লিড জেনারেশন, সিপিএ মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংসহ আউটসোর্সিংয়ে বিভিন্ন মাধ্যম সম্পর্কে তরুণ-তরুণীরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। বর্তমানে সায়েম একাডেমিতে অর্ধশত শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোসিং এর ওপর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আর গেল ছয় বছরে তার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কাজ শুরু করেছেন দেড় হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী। যাদের অনেকেই এখন স্বাবলম্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ঠাঁকুরগঞ্জ এলাকার নুর হোসেনের ছেলে রাশেদ খান মিলন। নীলফামারী সরকারি টেকনিক্যাল এন্ড কলেজ থেকে ডিপ্লোমা শেষে এখন রংপুর শহরে রয়েছেন। এখানে একটি আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চাকরি করছেন।

রাশেদ খান বলেন, আমি সায়েম একাডেমিতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন নিজ থেকে ফ্রিল্যান্সিং করছি। মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার আয় হচ্ছে।

সায়েমের কাছ থেকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিয়েছেন গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর সায়রাবাড়ি গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে সামিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ডিপ্লোমাতে পড়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করছি। শহরে থাকা খাওয়ার পরও মাসে ১০-১২ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।

কথা হয় রংপুর নগরের কলেজ রোড খামারপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে রাবেয়া বসরি সুমাইয়ার সাথে। তিনিও সায়েম একাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত হয়েছেন। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী বর্তমানে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকার মতো আয় করছেন।

এদিকে উদ্যোক্তা আবু সায়েমকে স্বাগত জানিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার এন্ড সায়েন্স বিভাগ। এ বিভাগীয় প্রধান ড. মিজানুর রহমান জানান, ছাত্র অবস্থায় যদি কেউ ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে যুক্ত হয়, এটি হবে তার জন্য বাড়তি আয়ের পথ। এখন তরুণদের একটি বড় অংশ ফ্রিল্যান্সিং শিখছে। করোনা পরবর্তীতে ফ্রিল্যান্সিং বেকার যুবকদের আশার আলো দেখাতে পারে।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

পঞ্চগড়ে পানিতে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু

জামালপুরে গরীবের ১০ টাকা কেজি চাউল কালোবাজারি থেকে উদ্ধার

ঝিনাইদহ থেকে রাজবাড়ি জেলার ধ’র্ষণ ও অ’পহরণ মামলার আসামী র‌্যাব-৬’র হাতে গ্রেফতার

ঝিনাইদহ থেকে রাজবাড়ি জেলার ধ’র্ষণ ও অ’পহরণ মামলার আসামী র‌্যাব-৬’র হাতে গ্রেফতার

কেএমপি’র অভিযানে মা’দকসহ ৪ ব্যবসায়ী গ্রে’ফতার

কেএমপি’র অভিযানে মা’দকসহ ৪ ব্যবসায়ী গ্রে’ফতার

পাপুলের রায় পর্যালোচনা করছে সংসদ, হারাতে পারেন সংসদসদস্য পদ

নাগরপুরে সরিষা প্রদর্শনীর মাঠ দিবস পালিত

নড়াইলে শিক্ষককে হে’নস্তা ও সাভারে শিক্ষক হ’ত‍্যার প্রতিবাদে রংপুরে মানববন্ধন-সমাবেশ

নড়াইলে শিক্ষককে হে’নস্তা ও সাভারে শিক্ষক হ’ত‍্যার প্রতিবাদে রংপুরে মানববন্ধন-সমাবেশ

নাগরপুরে নানা আয়োজনে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান

জামালপুরে বিজিবি’র মিস ফায়ারে পাথালিয়া গ্রামের শিশু জ্যোতি গুলীবিদ্ধ