
মহিনুল ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধি।। ছেলে ইরাসাম’এর তৃতীয় জন্মদিন বৃদ্ধাশ্রমের অসহায় পিতা-মাতাদের সাথে পালন করেছেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক ও তার পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার(৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার শহরে গড়ে ওঠা ‘নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে এসময় এক অসাধারণ মনোমুগ্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী ফাতেহা শিরিন বৃদ্ধাশ্রমের অসহায়দের মাঝে নিজ হাতে রান্না করা খাবার ও তাদের হাতে বস্ত্র সামগ্রী তুলে দেন। তাদের বড় ছেলে ইসমাম ও ছোট ছেলে ইরাসাম বৃদ্ধাশ্রমে অবস্থিত সদস্যদের সাথে জন্মদিনের কেক কেটে ভাগাভাগি করে খান।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, আজকের এই দিনে তিনি তার দুই ছেলেকে বৃদ্ধাশ্রমে অসহায় সেই বাবা মায়েদের মনের কথা শোনালাম। যাতে আর কেউ পিতা-মাতাকে অবহেলিত করে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে না যায়। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা তাদের কষ্ট বেদনাকে আপন করে তোলা আমাদের কর্তব্য। আর এটি ছিল ছেলের জন্মদিনের একটি ভিন্ন উপহার।বৃদ্ধাশ্রমে অবস্থিত সদস্যরা জানান, একজন জেলা প্রশাসক ও তার স্ত্রী আমাদের সাথে তাদের ছেলেদের জন্মদিন পালন করবেন তা আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। আমাদের জন্য অনেক রকমের খাবার রান্না করে এনেছেন ডিসি স্যার ও তার সহধর্মীনী। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা সুলতান (৮৫), আঃ কাফি(৮০), সাবেত আলী(৬৫),একরামুল(৭০) খুটু মামুদ(৭০) সহ অন্যান্যরা এমন আয়োজনে অভিভূত বলে মন্তব্য করেন। তারা দুঃখ করে বলেন, নিজের ছেলে মেয়েরা আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। অন্যের ছেলে মেয়েরা এসে আমাদের ভাল খাবার জামা-কাপড় দিয়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, আজকের এই দিনে তিনি তার দুই ছেলেকে বৃদ্ধাশ্রমে অসহায় সেই বাবা মায়েদের মনের কথা শোনালাম। যাতে আর কেউ পিতা-মাতাকে অবহেলিত করে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে না যায়। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা তাদের কষ্ট বেদনাকে আপন করে তোলা আমাদের কর্তব্য। আর এটি ছিল ছেলের জন্মদিনের একটি ভিন্ন উপহার।বৃদ্ধাশ্রমে অবস্থিত সদস্যরা জানান, একজন জেলা প্রশাসক ও তার স্ত্রী আমাদের সাথে তাদের ছেলেদের জন্মদিন পালন করবেন তা আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। আমাদের জন্য অনেক রকমের খাবার রান্না করে এনেছেন ডিসি স্যার ও তার সহধর্মীনী। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা সুলতান (৮৫), আঃ কাফি(৮০), সাবেত আলী(৬৫),একরামুল(৭০) খুটু মামুদ(৭০) সহ অন্যান্যরা এমন আয়োজনে অভিভূত বলে মন্তব্য করেন। তারা দুঃখ করে বলেন, নিজের ছেলে মেয়েরা আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। অন্যের ছেলে মেয়েরা এসে আমাদের ভাল খাবার জামা-কাপড় দিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,এনডিসি জাহাঙ্গীর হোসাইন, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান, কিশোরীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ, কিশোরীগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ, নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা সাজেদুর রহমান সাজু প্রমুখ।
বৃদ্ধাশ্রমটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাজেদুর রহমান সাজুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ১৫৬ নম্বর স্বারকে সমাজসেবা থেকে অনুমুতি পাওয়ার কথা আছে। তাদের এখানে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। সেখান থেকে চাঁদা দিয়ে বৃদ্ধাশ্রমটি পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে বৃদ্ধাশ্রমটি ৩০ হাত টিনশেডের ঘর রয়েছে। তিনি বলেন, এটাকে পাকা করে ১০০ জনের থাকার ব্যবস্থা করতে চাই, এটাই আমাদের স্বপ্ন।