পুঠিয়া( রাজশাহী) প্রতিনিধি।।
“তারুণ্যের যুক্তিতে আগামীর মুক্তি” এ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহীর পুঠিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো মাধ্যমিক স্কুল পর্যায় আন্তঃ স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৫ ফাইনাল ও পুরস্কার বিতারণী অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এই সংসদ বিশ্বাস করে, একই ধরণের অপরাধের জন্য একজন শিক্ষিত ব্যক্তির সবসময় একজন অশিক্ষিত ব্যক্তির চাইতে অধিক শাস্তি পাওয়া উচিত এর উপর প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার অংশগ্রহণকারী ১২টি বিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে পচাঁ মাড়িয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। আন্তঃ স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পচাঁ মাড়িয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় টিম পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় টিমকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
প্রতিযোগিতা পরিচালক এস এম এস এম মেহেদী হাসান বাবু ও ইয়াসির আরাফাত প্রিন্স সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ও স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ, কে, এম নূর হোসেন নির্ঝর। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান ও মাধ্যমিক সমালোচনামূলক প্রশিক্ষণ শিক্ষা তত্ত্বাবধায়ক আশরাফুল ইসলাম, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগের ছাত্র জাকিরুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আবু মুসা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র, আররাফি সিরাজি অন্তর, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ছাত্র হৃদিকা আহসান শ্রেয়া, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আসাদুজ্জামান সিয়াম প্রমুখ। অংশগ্রহণ কারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, যেমন- বিড়ালদহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝালমালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, জামিরা উচ্চ বিদ্যালয়, পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ধোপাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, পুঠিয়া পরেশ নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সৈয়দ করম আলী দারুস সুন্নাত ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, শহীদ নাদের আলী বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, ধোপাপাড়া মোহনপুর আলিম মাদ্রাসা, ধোকরাকুল উচ্চ বিদ্যালয়, পঞ্চমারিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং বানেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেন।
এই বিতর্ক অনুষ্ঠানটি পুঠিয়া উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং বক্তৃতা দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে গত ২০ মে একটি কর্মর্শালার মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্থানীয় ১২টি বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী ৪৮ জন শিক্ষার্থী এবং ১২ জন শিক্ষকের উৎসাহে অংশগ্রহণ করে।
উপস্থিত বিচারকগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, বিতর্ক কেবল মতামত বিনিময়ের একটি প্ল্যাটফর্ম নয় – এটি একটি গতিশীল হাতিয়ার যা প্রয়োজনীয় সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা দক্ষতা বিকাশ ঘটায়। তর্ক-বিতর্কেও মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা তথ্য বিশ্লেষণ, বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়ন এবং সুবিবেচনামূলক তর্ক তৈরি করতে শেখে। এই প্রক্রিয়াটি কেবল বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতাকে তীক্ষ্ণ করে না বরং উভয় ক্ষেত্রেই উদ্দীপনামূলক ও আত্মবিশ্বাসের সাথে উদ্দীপনামূলকভাবে বিনিময় করতে সক্ষম করে।