
পাবনা প্রতিনিধি >>
পবিত্র ঈদুল-আযহাকে সামনে রেখে পাবনার সুজানগরে জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে উপজেলার হাঁট-বাজারে তত বেশি কোরবানির পশু আমদানি হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছর নির্দিষ্ট তিনটি পশুর হাট ছাড়াও আরো তিনটি হাঁট-বাজারসহ মোট ছয়টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়েছে। হাট-বাজারগুলো হলো সুজানগর পৌর বাজার হাট, রাইপুর হাট, শ্যামগঞ্জ হাট, মানিকহাট হাট, কাদোয়া হাট ও সাতবাড়ীয়া বাজার পশুর হাট।
ঈদের এখনও বেশ কয়েকদিন বাকী থাকলেও ওই সকল হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে গরু-ছাগল ও মহিষ উঠছে। স্থানীয় গৃহস্থদের পাশাপাশি কোরবানির পশু ব্যবসায়ীরাও হাট-বাজারে গরু-ছাগল ও মহিষ নিয়ে আসছেন। তবে এবার হাট-বাজারে ভারতীয় গরুর চেয়ে দেশি গরু বেশি চোখে পড়ার মতো। উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে দেশি গরু-ছাগল বেশি আমদানি হচ্ছে। তবে হাট-বাজারে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি।
মানিকহাট বাজারে গরু বিক্রি করতে যাওয়া গৃহস্থ আব্দুল বাতেন বলেন, চারটি গরু নিয়ে বাজারে গিয়েছিলাম। কিন্তু তেমন ক্রেতা মেলেনি। ২/৪জন ক্রেতা দাম বললেও সেটা বেঁচা-বিক্রির মতো দাম নয়।
একই হাটে বিশাল একটি ষাঁড় গরু নিয়ে যাওয়া গৃহস্থ আজিবর রহমান বলেন, বাজারে ষাঁড়টি নিয়ে যাওয়ার পর শত শত মানুষ এক নজর দেখার জন্য ভিড় করেছিল। কিন্তু কেউ তেমন দাম বলেনি। ২/১জন ক্রেতা দাম বললেও তা লালন-পালনের খরচের চেয়ে অনেক কম। ফলে তিনি ষাঁড়টি বিক্রি না করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। তবে বিক্রেতারা আশাবাদী আছেন ঈদের ৫/৭দিন আগে কোরবানির পশুর চাহিদা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি দাম ও বৃদ্ধি পাবে। কেননা এখনও সময় হাতে থাকায় ক্রেতারা পশু না কিনে হাট-বাজারে ঘুরে বাজার যাচাই করছেন।