crimepatrol24
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ৩:৫১ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

পাঠ্যপুস্তকে জলবায়ু বিপর্যয় সম্পর্কিত বিষয়গুলো অর্ন্তভূক্ত করার দাবি

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
জানুয়ারি ৯, ২০২২ ৮:১২ অপরাহ্ণ

 

আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম: জলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে সারা বিশ্বের প্রাণ-প্রকৃতি আজ হুমকির মুখে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও বিমানের ব্যবহার, কয়লা এবং তেল নির্ভর বিদুৎসহ আরো নানা কারণে আমাদের পৃথিবী প্রতিনিয়ত উত্তপ্ত হচ্ছে। বিশেষ করে, জি-২০ দেশগুলোর লাগামহীন কার্বন নিঃসরণ এবং মাত্রাতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এই অবস্থার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। তবে এই বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের মতো প্রান্তিক দেশগুলো। যার কারণে বাংলাদেশের এক কোটি নব্বই লাখেরও বেশি শিশু সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব শিশুর এক-চতুর্থাংশের বয়স পাঁচ বছরের কম। রবিবার ৯ জানুয়ারি ২০২২, সকাল ১১টায় ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক এর যৌথ উদ্যোগে ধানমন্ডিস্থ আবাহনী খেলার মাঠের সামনে (সাত মসজিদ রোড) “পাঠ্যপুস্তকে জলবায়ু বিপর্যয় ও বিপর্যয় রোধে করনীয় বিষয়গুলো অর্ন্তভূক্ত করার আহবান” জানিয়ে মানবন্ধন থেকে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক এর নেটওয়ার্ক অফিসার শান্তনু বিশ্ব এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টামর্ফোড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর পলিসি অফিসার আ ন ম মাছুম বিল্লাহ ভূঞা, স্টপ এমিশনস নাও বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব মঞ্জুর হাসান দিলু ও প্রতিনিধি সামিউল হাসান সজিব; ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার বরনী দালবত, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল এর প্রধান শিক্ষক এম এ মান্নান মনির, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় এর সিনিয়র শিক্ষক মো তাহাজ্জত হোসেন ও পরিমল মধু, বায়োস্কোপ বাংলাদের সভাপতি মো: আলমগীর হোসেন সহ ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বৃন্দ।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রভাব মোকাবেলায় এবং বিপর্যয় রোধে করণীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কপ২৬ অনুষ্ঠিত হলেও কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে বিশ্বনেতারা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে এবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। পৃথিবীব্যাপী প্রাণ-প্রকৃতির অস্তিত্ব যখন বিনাশের পথে এখনও জি-২০ দেশের নেতারা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগছেন। যার কারণে বাংলাদেশের মত সমুদ্র উপকূলের দেশসমুহের জন্য এ বিপর্যয় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আইপিসি তাদের প্রতিবেদনে আরও আশঙ্কা জানিয়েছে যে, এই শতাব্দীর মধ্যে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ডুবে যেতে পারে। দেশের ১৯টি জেলার প্রায় ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ কারণে গৃহহীন হবে প্রায় দুই কোটি মানুষ। এছাড়াও বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চল জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে মরুকরণ ত্বরান্বিত হচ্ছে। এসবের ফলে দেশে খাদ্য উৎপাদন, সুপেয় পানির সংকট দেখা দিবে, বাড়ছে নিত্যনতুন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অসুখ-বিসুখ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘরহারা মানুষের সংখ্যা। ফলাফল হিসেবে শহরাঞ্চলে বস্তিবাসীর সংখ্যাও বাড়ছে।

বক্তারা আরো বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্রের রাজ্যের রাজ্য সরকার স্কুলে’র নতুন পাঠ্যসূচিতে জলবায়ু পরিবর্তন এর বিষয়টি যুক্ত করেছে। তাই আমরা চাই, মানুষসহ প্রাণ-প্রকৃতি বাঁচাতে এবং বাংলাদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে আমাদের দেশের ২০২৩ সালের পাঠ্যপুস্তকেও জলবায়ু বিপর্যয় ও বিপর্যয় রোধে ব্যক্তি, সংগঠন (প্রতিষ্ঠানের) এবং সরকারের করণীয় বিষয়গুলো অর্ন্তভূক্ত করুক। রাষ্ট্র আর্ন্তজাতিক সংস্থার মাধ্যমে জি-২০ রাষ্ট্রসমূহকে চাপ প্রয়োগ করবে যেমন: সার্ক, কমনওয়েললথ, ওআইসির সভায় বাংলাদেশের ক্ষতির বিষয়গুলো তুলো ধরবে। জীবাশ্ম জ্বালানির এই ব্যবহার বন্ধ করতে প্রয়োজন নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা; যেমন: একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য আইন তৈরি ও প্রয়োগ করা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা। এছাড়াও স্বল্প দূরত্বে হাঁটে যাতায়াত, সাইকেল ও অযান্ত্রিক যানবাহন এ যাতায়াত করা এবং বেশি দূরত্বে গণপরিবহনকে প্রাধান্য দিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা জন্য সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে ভতুর্কি প্রদান করবে। অযান্ত্রিক যানবাহনে ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিয়ে আইন- নীতিমালা প্রনয়ণ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং ব্যক্তিগত যান্ত্রিক যানের ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো কার্বন নিঃসরণ হয় এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে। যেমন: সভা ও সমাবেশে একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করবে। যেমন: বোতলজাত পানির ও প্লাস্টিক বক্সে খাবার পরিবেশন করবে না এবং তাদের সভা সমাবেশে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। জলবায়ু বিপর্যয় ও বিপর্যয় রোধে করনীয় বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভূক্ত করলে খুব স্বপ্ল সময়ে অধিক মানুষকে সচেতন করা সম্ভব হবে এবং জলবায়ু বিপর্যয়ের বিশাল হুমকি থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও রক্ষা করা সম্ভব হবে।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

ডোমারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশুকে মারধর, থানায় অভিযোগ

রাজশাহী দুর্গাপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে ক’কটেল হা’মলা

ঝিনাইদহে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস পালিত

শৈলকুপার কাতলাগাড়ী অভিযান, জিকে সেচ খালের দেড়শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার পেলো খুদে শিক্ষার্থীরা

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার পেলো খুদে শিক্ষার্থীরা

নেত্রকোনায় নকল প্রসাধনী কারখানায় অভিযান, গ্রেফতার ১

জামালপুরে সাংবাদিক শেলু আকন্দের দু’পা ভেঙে দেওয়া ছাত্রলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী রাকিব গ্রেপ্তার

নুসরাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

পঞ্চগড়ে সেতুর অভাবে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি

নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন