
আল মাসুদ,পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ে চিকিৎসকে মারধরের ভিডিও ধারণ করায় বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পঞ্চগড় প্রতিনিধি সাংবাদিক সোহাগ হায়দারের উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলাধীন ভজনপুর বাজারে এ হামলা করা হয়।এবিষয়ে ভজনপুর বাজারে পঞ্চগড় ডেন্টাল কেয়ারের, ডেন্টিস্ট, মোঃ রবিউল আলম বাবু জানান,গত ৭/৮ মাস আগে হাসিবুল ইসলাম নামে এক মুদি ব্যাবসায়ী দাতের স্কেলিং করে। কিন্তু হঠাৎ গত কয়েকদিন থেকে সে বলছে আমার স্কেলিং ভালো হয় নি। আমি তাকে পরামর্শ দেই উন্নত চিকিৎসার জন্য। সে উল্টো আমাকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। গত তিন দিন আগে মসজিদে নামাজের সময় আমাকে চর থাপ্পর দেয়।আজ দুপুরে চেম্বার খুলে নামাজে যাওয়ার সময় হাসিবুল ও তার বড় ছেলে ওলিউল্লাহ খান রনি,মেজো ছেলে আল আমিন ও ছোট ছেলে মানিকসহ এবং তার দোকানের কর্মচারীসহ ৫/৬ জন মিলে আমাকে মারার জন্য ধাওয়া করে। আমি প্রাণ ভয়ে দৌাড়ে পাশের চায়ের দোকানে বশে থাকা সাংবাদিক মমতাজ আলীর কাছে আশ্রয় নেই। সেখানে সাংবাদিকের উপস্থিতিতে আমাকে মারধর শুরু করে। এসময় সাংবাদিক ভিডিও ধারণ করলে তাকেও মারধর শুরু করে।
এদিকে সাংবাদিক মমতাজ আলী জানান, ডেন্টিস রবিউল আলম বাবুকে মারধর করলে সে ভয়ে আমার কাছে আশ্রয় নিলেও সন্ত্রসীরা ক্ষাণ্ত না হলে আমি ভিডিও করতে থাকি। এসময় হাসিবুল ও তার ছেলে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। আমি দ্রুত সাংবাদিক সোহাগ হায়দারকে ফোন দিলে সে ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই তার উপর হামলা শুরু করে। এক দিকে আমাকে মারধর করে অন্য দিকে সহকর্মী ও আমার ছোট ভাইকে মারধর করতে থাকে।
এবিষয় সাংবাদিক সোহাগ হায়দার জানান, আমি ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই কোনো কিছু বুঝে উঠার আগে আমাকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে আমাদের বাঁচাতে গিয়ে আসমা বেগম ওইসব সন্ত্রাসীর হাতে শ্লীলতাহানি ও হামলার শিকার হয়। স্থানীয়রা দ্রুত থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলা লকারীরা সবাই পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আবু সায়েম মিয়া জানান, আমি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।