
পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে গোপনে কিশোর-কিশোরীর বাল্য বিয়ে দেওয়ায় ওই ইউপি সদস্যের বিরদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন কিশোরের মা ইসমতারা বানু। এদিকে বিয়ের পর থেকে তার সন্তানের কোন খোঁজ না পেয়ে দিশেহারা মা। সন্তানের সন্ধানে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে পঞ্চগড় সদর থানায় ১৬ এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরের মা।
অভিযোগে জানা যায়,পঞ্চগড় সদর উপজেলার বসুনিয়া পাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের মেয়ে মোছা.সাদিয়া (১৫) একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১৬)কে ইউপি সদস্য রনিক প্রধান ও মেয়ের পরিবার ইসমাইলকে ফুঁসলাইয়া পঞ্চগড়ে নিয়ে আসলে, এ্যাফিডেভিট মুলে গত ৩০শে মার্চ সাদিয়ার সহিত ইসমাইলের বিয়ে দেওয়া হয়,এমনকি বিয়ের পর নবদম্পতিকে ইউপি সদস্যের বাড়িতে ১৬ দিন রাখা হয়েছে। পরে আবার তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর ছেলের কোন সন্ধান না পেয়ে ইউপি সদস্য রনিক প্রধান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সন্তানের বাবদ ২ লাখ টাকা দাবি করেন কিশোরের পবিারের কাছে।
এদিকে ইউপি সদস্য রনিক প্রধান বলেন, ছেলে-মেয়ে অপকর্ম করতে গিয়ে সামাজিকতা রক্ষায় তাদের এ্যাফিডেভিট মুলে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি কুচক্রীমহল আমাকে হেয় করতে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যে পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
পঞ্চগড় সদর থানার এসআই ইমাদ উদ্দিন মোঃ ফারুক হোসেন বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।