আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)সংবাদদাতা ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মুখলেছুর রহমান চৌধুরীর মালিকাধীন জায়গা থেকে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন। আজ রবিবার দুপুরে নাসিরনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মুখলেছুর রহমান চৌধুরী উপজেলা সহকারী করিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুখলেছুর রহমান চৌধুরী বলেন,তিনি সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের নাসিরনগর উপজেলা সদরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি ক্রয়সূত্রে ৬২৫৬ দাগে তিন শতক ভূমির মালিক। ২৫ বছর ধরে তার পাঁচটি পাকা দোকান ঘর রয়েছে। তিনি এগুলো ভাড়া দিয়ে জীবন নির্বাহ করে আসছেন। দোকান ঘরের সামনে ৫৫ ফুট দৈর্ঘ্য আর ৬ ফুট প্রস্থের একটি বারান্দা বিদ্যামান ছিল। চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি ওই বারান্দার সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেন। কিন্তু গত ১৩ জানুয়ারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই ভোল্ডড্রেজার দিয়ে তার মালিকানাধীন পাকা ভবনের বারান্দাটি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, অবৈধভাবে তার বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। তাছাড়াও বারান্দাসহ পাকাভবনের সামনের উত্তর দিকের রাস্তাটিও তার নিজ ভূমির ওপর বিদ্যমান। ওই রাস্তার মালিকানা দাবি করে তিনি আদালতে দুটি মামলাও দায়ের করেছেন। এগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যের সময় মুখলেছুর রহমান চৌধুরী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি উল্লেখ করেন, কোনো নোটিশ ছাড়াই স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়ার সময় তিনি ভূমির বৈধতার কাগজপত্র দেখানোর জন্য বার বার চেষ্টা করেছেন। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দের ভয় দেখিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুখলেছুর রহমান চৌধুরীর ছেলে জাকির হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, যারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নিয়মিত টাকা দিতে পারে তাদের স্থাপনা অবৈধ হলেও উচ্ছেদ হয় না। আমাদের বৈধ জায়গা হলেও টাকা দেই না বলে আমাদের বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার বলেন,সরকারি জায়গায় দখল করে বারান্দা নির্মাণ করেছে। তাই সরকারি জায়গা থেকে ভবনের নতুন বর্ধিত অংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদকৃত ভূমিটি এক নম্বর খাস খতিয়ানের ৬২৫৪ দাগের অন্তর্ভুক্ত।এ জমির মালিক সরকার।’