মাহতাব উদ্দিন আল আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট(দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
ইজিবাইক-অটোরিকশা/ভ্যান ও সিএনজি এবং টোল দোকানের দ’খলে দিনাজপুর আলিক মহাসড়ক। এসব অটোরিকশার-ইজিবাইক ও সিএনজির কারণে পথচারী ও ভারী যানবাহন চলাফেরার ভোগান্তিসহ বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা।
সড়কের উপরে অঘোষিত স্ট্যাণ্ড স্থাপন করে যাত্রী উঠানামা করান তারা। এজন্য দিনভর যানজট লেগে থাকে ব্যস্ততম এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে। ব্যস্ততম সড়কের বেশিরভাগই তাদের দ’খলে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আলিক মহাসড়ক ঘোড়াঘাট উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্ট্যাণ্ড বসিয়ে চলছে তাদের রাজত্ব। উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার, ওসমানপুর বাজার, গাইবান্ধা মোড়সহ বিভিন্ন বাজারে অনেক জায়গাজুড়ে সড়কের দু’পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় শত শত ইজিবাইক-অটোরিকশা/ ভ্যান ও সিএনজি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইজিবাইক চালক বলেন, এসব স্ট্যাণ্ডে নতুন গাড়ি চালাতে সমিতিকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁ’দা দিতে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁ’দা দিলে স্ট্যাণ্ডে গাড়ি রেখে যাত্রী উঠাতে পারেন চালকরা। এই যাত্রী উঠাতে গিয়েই সড়ক স্ট্যাণ্ডে রূপ পেয়েছে এবং সড়ক সংকুচিত হয়ে দিনভর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অটোরিকশায় যানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে।
স্থানীয়রা বলেন, ব্যস্ততম আলিক মহাসড়কের ওপর থেকে অবৈধ স্ট্যাণ্ড সরানোর উদ্যোগ নেয় না কেউ। রাস্তা বড় হয়েছে ঠিকই তবে সুবিধা ভোগ করতে পারছে না পথচারী ও ছোট-বড় যানবাহন। এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও শতশত গাড়ি চলাচল করে। ইজিবাইক-অটোরিকশা-সিএনজির অবৈধ স্ট্যাণ্ড ও এলোপাতাড়ি চলাচল এবং যাত্রী উঠানামার কারণে পথচারী ও ভারী যানবাহনের দুর্ভোগ নিত্যদিনের সঙ্গী। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব অবৈধ স্ট্যাণ্ড সরানোর জন্য কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কের উপর সিএনজি- অটেরিকশা ভ্যান দাঁড় করিয়ে রেখে চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি করা কাম্য নয়। গাড়ি চালকদের একাধিকবার সচেতন করা হলেও তারা খেয়াল খুশিমতো এটা করেই যাচ্ছে। আমরা শীঘ্রই আবারো সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’