
ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক : ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় পাশে সওজের জমি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দুই সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। প্রথম দফায় ২৫ ও ২৬ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় দফায় শনিবার ও রবিবার মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে শিমুলতলা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান ফারুকী।
প্রথম দফা অভিযানে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে থানা বাসস্ট্যান্ড এবং দ্বিতীয় দিন থানা বাসস্ট্যান্ড থেকে পাকিজা কারখানা পর্যন্ত উচ্ছেদ করা হয়। হঠাৎ করে এ অভিযান চালানোর ফলে মহাসড়কের পাশের স্থাপনা ও ভবন মালিকরা প্রতিবাদ জানান। এ কারণে ১১ দিন অভিযান বন্ধ রাখে সওজ কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ওই সময়ের মধ্যে মহাসড়কের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সকল স্থাপনা ও দোকানপাট সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ওই সময়ের মধ্যে যেসব স্থাপনা সরানো হয়নি তা উচ্ছেদের লক্ষ্যে গত শনিবার থেকে পুনরায় দ্বিতীয় দফায় এ অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান ফারুকী বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশের বিভিন্ন স্থানে ৪০-৫০ ফুট এলাকা দখল করে স্থায়ি ও অস্থায়ি স্থাপনা তৈরি করেছে দখলদাররা। আর সওজের দখলকৃত এসব জমি উদ্ধারে সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সাভারের আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশের সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এই অভিযান চলবে। পর্যায়ক্রমে নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চলবে। আপাতত আমরা অস্থায়িভাবে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করছি এবং স্থায়ি ভবনগুলোকে সময় দিয়ে পর্যায়ক্রমে সরিয়ে দেওয়া হবে।
উচ্ছেদ অভিযানে সওজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা , পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।