আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্র’তারক স্বামী আল-আমিনের বাড়ীতে টানা ২০দিন ধরে অবস্থান করছে এলাকার এক কলেজছাত্রী। প্র’তারক স্বামী গত ২ বছর পূর্বে গোপনে বিয়ে করে ফয়দা লুটে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কলেজছাত্রী তার বাড়ীতে যেতে বাধ্য হয় বলে অভিযোগ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনয়নের নিজ ভোগডাবুড়ী আনন্দ বাজার এলাকায়।
জানা যায়, উক্ত গ্রামের পাবনা পাড়া এলাকার এক অসহায় পরিবারের কন্যা (১৮) নীলফামারী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী, তার বাবা মা ঢাকায় চাকুরীরত থাকায় নানা হযরত আলীর বাড়ীতে থেকে পড়ালেখা করে। প্রতিবেশী আনন্দ বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে (পল্লী পশু চিকিৎসক) আল-আমিনের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। সর্ম্পককে ধরে রাখতে গত ২৩/০৭/২০২২ তারিখে গোপনে স্থানীয় নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী)’র কাছে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সেই কাবিন নামাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে বিগত ২ বছর যাবত আল-আমিন বিভিন্ন রির্সোট, আবাসিক হোটেল এবং বন্ধুদের বাড়ীতে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে রাত্রি যাপন করেন। কলেজছাত্রী স্ত্রীর মর্যাদা পেতে তাকে চাপ দিতে থাকলে প্র’তারক আল-আমিন তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। যার কারণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২৪ তারিখে বিকালে কলেজ ছাত্রী তার( প্রেমিকের) বাড়ীতে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেই সংবাদ পেয়ে আল আমিন বাড়ী থেকে পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। এ বিষয়ে দফায় দফায় ৪ বার শালিস বৈঠক করেও কোনো ফল না পাওয়ায় বিগত ২০ দিন যাবত ছেলের বাড়ীতে মানবেতর জীবন যাপন করছে কলেজছাত্রী।
অপরদিকে, আল আমিনের বাবা রফিকুল, বড়ভাই আলী রাব্বিল, রাব্বানী ও পরিবরের লোকজন মিলে কলেজ ছাত্রীর উপর মানসিক নি’র্যাতন করছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেন।
ওই ছাত্রীর মামা মেহেদী হাসান জানান, ‘ছেলেরা প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। বিয়ে বা সংসারের কথা বললে তারা আমাদের সাথে অ’সদাচরণসহ অ’পমান অ’পদস্থ করছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, ‘দ্রুত ছেলেকে নিয়ে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যেহেতু মেয়েটি ছেলের বাড়ীতে অবস্থান করছে তার নিরাপত্তা এবং দায়ভার ছেলে পক্ষকে নিতে হবে।’