আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে স্টেশন মাস্টার কর্তৃক মি’থ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১১টায় ডোমার বাজার বাটার মোড়ে অনষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ডোমার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এস,এম,গ্রেট-৩ (চুক্তি) আনোয়ার হোসেন কর্তৃক মতিবুল ইসলাম মতির বিরুদ্ধে করা মি’থ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী মতিবুল ইসলাম মতি (৪০) লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমার বাবা মৃত আ: লতিফ ১৯৯৮ ইং সাল থেকে ২০১২ ইং সাল পর্যন্ত ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে কুলির সর্দার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পরে ডোমার রেলওয়ে স্টেশনের তৎকালীন মাস্টার আমাকে কুলির সর্দার হিসেবে মনোনীত করে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ডি,সি,ও বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বরাবর ১৯/১১/২০১২ইং তারিখে একটি আবেদন সুপারিশ করে প্রেরণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমি ২০১২ ইং থেকে শুরু করে ২০২২ ইং পর্যন্ত আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছি। ২০২২ ইং সালে স্টেশনে সামান্য ভুল বুঝাবুঝির কারণে তৎকালীন স্থানীয় জনৈক কাউন্সিলর আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে একটি সাজানো মি’থ্যা বানোয়াট মানব বন্ধন করেন। ওই কারণে ডি,সি ও পাকশী এক তদন্তের মাধ্যমে আমাকে মৌখিকভাবে কাজ না করতে বলেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান স্টেশন মাস্টার আমার বিরুদ্ধে মি’থ্যা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানাতে চাই, কর্মরত টেন্ডাইল সামছুদ্দিন কে কুলির সর্দার হিসেবে নিয়োগ প্রদানের লক্ষ্যে তার কাছ থেকে মোটা অংকের উৎ’কোচ গ্রহণ করে তাকে কুলির সর্দার হিসেবে বৈধতা ঘোষণা করছে। কিন্তু তাহা সত্য নয়, কারণ সামছুদ্দিনের নামে ডি,সি ও পাকশী অফিসে স্বাক্ষরিত বৈধ কোন কাগজপত্র নাই। তার করা মি’থ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যার করণে আমি আমার পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ ব্যাপারে ডোমার স্টেশন মাস্টার মো: আনোয়ার হোসেন জানান, ‘পাকশী অফিসে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এটা তদন্ত চলছে। তদন্তে সত্যতা বেরিয়ে আসবে।’