আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে দোকান ফেরত চাইতে গিয়ে মা’রধরের ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে মূল মালিকসহ ২১জন অসহায় মানুষের বিরুদ্ধে মি’থ্যা মামলা দিয়ে হ’য়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ডোমার উপজেলা মোড় এলাকায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, এলাকার একটি দোকান বিগত ১০/১০/২০১৩ ইং তারিখে শামসুল আলমের কাছ থেকে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূলে দোকানঘর পজেশনে নেয় এলাকার তমিজার রহমানের ছেলে জাহিরুল ইসলাম। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বয়লার মুরগির ব্যবসা করে আসছে জাহিরুল। এক সময় মুরগি মারা গেলে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দোকারটি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় রুহুল আমিন ও অন্তর কিছুদিনের কথা বলে জাহিরুলের পিতা তমিজারের কাছ থেকে দোকানের চাবি নিয়ে চায়ের দোকান করতে থাকে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দোকানটি নিজের কব্জায় নেয়ার চেষ্টা করে তারা। ঘটনার দিন ২৩ অক্টোবর বুধবার সকাল ৯টায় জাহিরুলের পরিবারের লোকজন তাদের কাছে দোকান ফেরত চাইতে গেলে অন্তর, রুহুল আমিন, তহিদুলসহ তাদের দলবল মিলে জাহিরুল, তমিজার, ও রেজিনার উপর হা’মলা চালিয়ে বেধরক মা’রপিট করে। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। অপরদিকে উল্টো তারাই আবার জাহিরুল, তমিজারসহ তাদের পরিবারে ২১জন অসহায় মানুষের বিরুদ্ধে মি’থ্যা মামলা দায়ের করে। সে কারণে মামলার ভয়ে ২১জন মানুষ পরিবারশুন্য হয়ে পালিয়ে মা’নবেতর জীবন যাপন করছে।
গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান মিজান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করেছে, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মি’থ্যা মামলা থেকে অব্যহতি এবং দোকান ঘরটি ফেরত পেতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগি জাহিরুলের পরিবার।