আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে গাছের ফুল ছেঁড়ার কারণে ৩য় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী আরফিন জাহান রিয়া (১০) কে পিটিয়ে আহত করেছে এক পাষণ্ড কলেজের প্রভাষক হাসেম আলী। নির্যাতনের শিকার শিশুটি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডিমলা জনতা কলেজের প্রভাষক হাসেম আলী এলাকার কাজী মকবুল হোসেনর ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার পাঙ্গামটুকপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মটুকপুর কাজীপাড়া গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একই এলাকার পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের পশু চিকিৎসক আসাদুজ্জামান আসাদের ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা আরফিন জাহান রিয়া (১০) শনিবার (৫জুন) সকাল ১১টায় প্রভাষক হাসেম আলীর বাড়ীর সামনে থাকা দক্ষিণ মটুকপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিটামিন এ-প্লাস ট্যাবলেট গ্রহণ করতে যায় রিয়ার ভাবি খাতিজার সাথে। এ সময় রিয়া প্রভাষকের বাড়ির সামনে থাকা ফুলের গাছ থেকে একটি ফুল ছিঁড়ে। প্রভাষক বাড়ি থেকে এসে শিশুটিকে এলোপাথারীভাবে কানে ও গালে চড় থাপ্পর মারতে থাকে। ভয়ে শিশুটি দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে ক্লিনিকে অবস্থান করলে প্রভাষক হাসেম সেখানেও গিয়ে তাকে বেধরক মারপিট করে বলে শিশুটির ভাবী খাদিজা বেগম জানান। প্রভাষকের আঘাতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এবিষয়ে প্রভাষক হাসেম আলীর কাছে শিশুটিকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, গাছের ফুল ছিঁড়েছে। আমি তার হাতদুটো ধরে ধমক দিয়েছি মাত্র, গায়ে হাত দেইনি।
রিয়ার বাবা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমি তখন উপজেলা পরিষদে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রদর্শনীতে ছিলাম। সংবাদ পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। মাথায় ও কানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে মারপিটের। ফলে তার কান দিয়ে রক্ত পড়ছে। পরে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করি। শিশু নির্যাতনের বিষয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি এবং প্রভাষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।