
তারেক জাহিদ, ঝিনাইদহঃ
অবশেষে ঝিনাইদহ জেলার বাজার গুলোতে পিঁয়াজে সয়লাব হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা খুশি হলেও বেজার কৃষক। জেলার ৬টি উপজেলার বাজারগুলোতে হঠাৎ করে পিঁয়াজের দাম কমে যাওয়া দেখে সবাই হতবাক হয়ে গেছে। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। দেখে মনে হলো ঝিনাইদহ জেলা যেন পিঁয়াজের নগরী। জেলার শৈলকুপা উপজেলার বাজারে পিঁয়াজ সয়লাবের কারণে সাধারণ ক্রেতারা খুশি হলেও কৃষকরা হতাশ হয়েছে। শতশত ভ্যান ,নসিমন, করিমন, ইজিবাইক, বাইসাইকেল এ করে শৈলকুপা বাজারে পিঁয়াজ নিয়ে এসেছে সাধারণ কৃষকেরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যপারীরা ছুটে এসেছে পিঁয়াজ কেনার জন্য। শৈলকুপা বাজারে এক সপ্তাহ আগেও পিঁঁয়াজ ঘাটতির কারণে প্রতি মণ পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা মণ। সেই পিঁয়াজই গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা মণ। শুধু ব্যাপারীই না সাধারণ জনগণেরও পিঁয়াজ কিনতে দেখা যায়। পিঁয়াজের দর হাতের নাগালে পেয়ে সাধারণ ক্রেতারা খুব খুশি। মঙ্গলবার ও বুধবারে ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক পিঁয়াজ ব্যাপারীদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
টেকের হাট থেকে আসা ব্যাপারী কালাম বলেন, ভাবতেও পারেনি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ দরে পিঁয়াজ কিনতে পারবো।
যশোর থেকে আসা ব্যাপারী সালমান বলেন, পিঁয়াজের দর কম পেয়ে বেশি করে কিনেছি।
পিঁয়াজ কিনতে আসা সাধারণ ক্রেতা রহিম বলেন, পিঁয়াজের দর কম হওয়ায় আমি খুব খুশি। তবে সাধারণ কৃষকেরা খুশি নয় ।
হাটফাজিলপুর থেকে আসা কৃষক আমিন বলেন, অনেক আসা করে এসেছিলাম বেশি দরে পিঁয়াজ বিক্রি করতে পারবো কিন্তু তা হলো না। বাজারে কারো মুখে হাসি, আবার কারো মুখে বিষন্নতার ছাপ দেখা গেছে। তবে শৈলকুপা বাজারে আরো পিঁয়াজের আমদানি হবে বলে সাধারণ জনগণের ধারণা। তবে এক থেকে দুই সপ্তাহ পর পিঁয়াজের দর আরো কমতে পারে বলে সবাই ধারনা করছেন।