crimepatrol24
১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ১০:৫৯ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ই-পেপার
  12. ইউরোপ
  13. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  14. উত্তর আমেরিকা
  15. উদ্যোক্তা

ঝিনাইদহে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে পুড়িয়ে দেওয়া বাড়ীটি ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবি

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১ ৯:১৬ অপরাহ্ণ

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও স্বাধীনতার অনেক স্মৃতি, দুঃখ- বেদনা মানুষের মনে নাড়া দেয়। যার সবকিছুই ইতিহাসের পাতায় খুঁজে পাওয়া যায় না। মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসে কত ঘটনাই ঘটেছে। তারমধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছাড়া অনেক কিছুই ইতিহাসের পাতায় স্থান পায় নি। তেমনি একটি ঘটনা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৬নং গান্না ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে হাজী আসকর আলীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। শহর থেকে প্রায় ১১/ ১২কি.মি দূরে কাঁদা মাটির রাস্তায় পায়ে হাটা পথ পেরিয়ে হাজী আসকর আলীর বাড়ী। এই বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা বিশ্রাম নিতো খাওয়া- দাওয়া করত। একদিন হঠাৎ আষাঢ়ের নির্ঝর দুপুরে (ইংরেজি জুলাই মাস) বাড়িটি ঘিরে ফেলে পাকিস্তানি সেনারা, সাথে ছিল এদেশীয় কিছু আলবদর রাজাকার। তখন সেই বাড়িতে অবস্থান করছিল মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সেক্টরের সাব কমান্ডার দুদু মিয়া সরকার, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু তাহের, ইলাহী বকস্, সুলতান আহম্মেদ, সিদ্দিকুর রহমান, তহুরুল ইসলাম, মোঃ সাহেব আলী, মফিজ উদ্দীন ময়ফল, মোঃ সামছুল হক ও বাবুর আলী মন্ডলসহ ১৪/১৫জন মুক্তিবাহিনীর একটি দল। তারা কোনভাবে টের পেয়ে যায় পাকিস্তানি আর্মিরা তাদের ঘিরে ফেলেছে। তখন যে যার মতো করে পালিয়ে বাড়ির পেছনের বিলে গিয়ে আত্মরক্ষা করে। ভাগ্যের জোরে তারা বেঁচে গেলেও পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়িটি। এমন স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা বলতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের। হাজী আসকর আলী’র ৩ ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে মমতাজ উদ্দিন পাকিস্তান আর্মিতে ছিলেন। সেই দেশের কারাগারে বন্দি। বাকি ২ ছেলে, ছেলের বউ বাঁচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। হাজী আসকর আলী আর দীর্ঘদিন তারা বাড়ী ফিরতে পারে নি। যুদ্ধ শেষে আবার বাড়ী ফেরেন তারা।

তৎকালীন আঞ্চলিক কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দুদু মিয়া সরকার জানান, আমরা প্রতিদিন অপারেশন শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে খাবারের জন্য এবং বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিলের ধারে নির্জন পল্লীতে হাজী আসকর আলী’র বাড়িতে যেতাম এবং নিরাপদ মনে করে অবস্থান করতাম। সে দিন ছিল আষাঢ়ের মাঝামাঝি একটি তারিখ পার্বতীপুর গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক ও ভুটিয়ারগাতি গ্রামের আব্দুল হাকিমসহ আরও দু’য়েক জন স্থানীয় রাজাকারের নেতৃত্বে একদল পাকিস্তানি সেনা এই বাড়িটি ঘিরে ফেলে। আমরা তাদের আগমন টের পেয়ে অস্ত্রপাতি ফেলে বাড়ির পিছনের বিলে ঝাঁপ দিই। বাড়িতে থাকা বাচ্চা এবং মহিলাদের উপর সেদিন অনেক অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছিল। আমরা সবাই যে যার মত প্রাণে বেঁচে গেলেও ওই বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা দুদু মিয়া সরকার ছাড়াও স্থানীয় বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ইলাহী বকস্, সুলতান আহম্মেদ, সিদ্দিকুর রহমান তাদের স্মৃতিময় দিন গুলোর কথা বর্ণনা করেন । কিছু পুড়ে যাওয়া টিন ছাড়া হাজী আসকর আলীর পুড়িয়ে দেওয়া সেই বাড়ির কো ন স্মৃতিই আজ অবশিষ্ট নেই।

স্থানীয় মুক্তযোদ্ধারা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ীর মালিক হাজী আসকর আলীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দান এবং স্মৃতিময় সেই বাড়িটি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সরকারিভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জে হাসপাতালে মোবাইল চু’রি নিয়ে আনসার ও সুইপারদের মধ্যে সং’ঘর্ষ

কিশোরগঞ্জে হাসপাতালে মোবাইল চু’রি নিয়ে আনসার ও সুইপারদের মধ্যে সং’ঘর্ষ

জগন্নাথপুর পৌর নির্বাচন স্থগিত

তিতাসে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স কাউন্সিলের উদ্যোগে বন্যা দুর্গতদের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা ও ঔষধ বিতরণ

ঝিনাইদহে নতুন করে আরও ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত

বৃহস্পতিবার টহলে নামছে সেনাবাহিনী, ঘর থেকে বের হলেই ব্যবস্থা

গোবিন্দগঞ্জে রায়হান হ’ত্যা মামলায় গ্রেপ্তার-৪

জামালপুরের দেওয়াগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা

কেএমপি’র মাদক বিরোধী অভিযানে মাদকসহ ৬ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

পঞ্চগড়ে বঙ্গমাতা কলেজে চুরি

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে ৯ বাংলাদেশি আটক