
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
৮ই আগস্ট বৃহস্পতিবার বাদ আছর ঝিনাইদহ জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি হায়দার আলীর উদ্যোগে বঙ্গমাতার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আছর স্থানীয় কচাতলা মোড়ে হায়দার আলীর নিজ বাসভবনে বঙ্গমাতার জীবণীর ওপর বিষদ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শহরের আদর্শপাড়া আওয়ামীলীগের সভাপতি রমজান আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা রাখেন জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি হায়দার আলী। আলোচনা রাখেন আদর্শপাড়া কচাতলা মোড় মসজিদ কমিটির সভাপতি রমজান আলী, ইমাম আব্দুর রশীদ, মসজিদ কমিটির নেতা গোলজার হোসেন প্রমুখ। আলোচনা শেষে হায়দার আলীর উদ্যোগে আদর্শপাড়া কচাতলা মোড়ে স্থানীয় মসজিদে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আত্মার শান্তি কামনা করে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রশীদ মরহুমা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। এছাড়াও বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বঙ্গমাতার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি হায়দার আলী বঙ্গমাতার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী তার জীবনীর ওপর প্রধান অতিথির বক্তব্য ও আলোচনায় বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্ম ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মাত্র ৩ বছর বয়সে পিতা ও পাঁচ বছর বয়সে মাতাকে হারান। তার ডাক নাম ছিল রেনু। পিতার নাম শেখ জহুরুল হক ও মাতার নাম হোসনে আরা বেগম। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত প্রখর ছিল। মনেপ্রাণে একজন আদর্শ বাঙ্গালী নারী ছিলেন। অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা, শান্ত, অসীম ধৈর্য ও সাহস নিয়ে জীবনে যে কোন পরিস্থিতি দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবেলা করতেন। তার কোন বৈষরিক চাহিদা ও মোহ ছিল না। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দানশীল। ইতিহাসে তাই বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেবল একজন রাষ্টনায়কের সহধর্মীণীই নন;বাঙ্গালীর মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক স্মরণীয় অনুপ্রেরণাদাত্রী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর পরিবারের অপরাপর সদস্যদের সঙ্গে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকেও মানবতার শত্রু, ঘৃণ্য,ঘাতক দুশমনের দল নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।