crimepatrol24
২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ১০:৪৬ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ই-পেপার
  12. ইউরোপ
  13. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  14. উত্তর আমেরিকা
  15. উদ্যোক্তা

ঝিনাইদহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিম্নমানের বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন!

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০ ৪:০৬ অপরাহ্ণ


তারেক জাহিদ, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হাজিরার জন্য বায়োমেট্রিক মেশিন কেনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ১৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৬ উপজেলার ৯০৭টি প্রতিষ্ঠানে এ মেশিন স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। হরিণাকুন্ডু উপজেলার ১৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়েছে নিম্নমানের মেশিন। ঝিনাইদহের ৬ উপজেলাতে যে মেশিন কেনা হয়েছে সেখানে কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্বিগুন দামে নিম্নমানের বায়োমেট্রিক মেশিন কেনার অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহে ৬ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৯০৭ টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বায়োমেট্রিক মেশিন কেনা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকার। ৬টি উপজেলার ৯০৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্লিপ প্রকল্পের টাকা দিয়ে এ মেশিন কেনা হয়। ঢাকার গুরুনুল ইনষ্টিটিউট অফ আইটি নামের প্রতিষ্ঠান থেকে বাধ্য হয়ে বেশি দামে তিম্মি নামের বায়োমেট্রিক মেশিন কিনেছেন ঝিনাইদহের শিক্ষকরা। অভিযোগ উঠেছে সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মেশিন কেনা হয়েছে ১৮ হাজার টাকায়। এদিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলার প্রধান শিক্ষকরা ১৮ হাজার টাকা করে জমা দেন।

বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুন্ডু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের হাজিরা মেশিন কেনার জন্য স্লিপ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এসব স্লিপের টাকায় বায়োমেট্রিক মেশিন কেনার জন্য মন্ত্রণালয়েরও নির্দেশনা রয়েছে। স্ব স্ব স্কুল কর্তৃপক্ষকে মানসম্মত মেশিন কিনতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কেনার জন্য শিক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেয়া হয়েছে। সেসব টাকা দিয়েই শিক্ষকরা হাজিরা মেশিন কিনেছেন। আর যদি নিম্নমানের মেশিন বেশি দামে কেনা হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা গেছে, গত বছর থেকে ঝিনাইদহসহ সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের নির্দেশনা দেয় সরকার। এরপর প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ’স্পেসিফিকেশন’ নির্ধারণ করে এ মেশিন কিনতে স্কুল কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের উদ্যোগ নিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে বাজারদর অনুযায়ী স্পেসিফিকেশন অনুসরণ করে কেনার নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি অসাধু চক্র অতিরিক্ত দামে ওই মেশিন ক্রয়ের বিষয়ে তৎপরতা শুরু করে।

জানা গেছে, ওই চক্রের সদস্যরা নানা কৌশলে প্রতিটি মেশিন ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা বেশি দামে কিনতে বাধ্য করেছে সংশ্লিষ্টদের। জেলার ৯০৭টি স্কুলে এ মেশিন কেনাও হয়েছে। প্রতিটি মেশিনে কম বেশি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার বাণিজ্য করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ’বায়োমেট্রিক’ হাজিরা মেশিন কেনার জন্য কোন বিশেষ কোম্পানীকে নির্বাচন করা হয়নি। প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রণালয় শুধু স্পেসিফিকেশন অনুমোদন করেছে। এ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ বাজার থেকে যাচাই করে সর্বোত্তম দামে নিজেদের পছন্দমতো বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কিনে স্কুলে স্থাপন করবেন।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

নীলফামারীতে কিশোর-কিশোরী ক্ষমতায়ন প্রকল্পের পর্যালোচনা ও অ্যাডভোকেসী সভা

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভায় সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভায় সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত

পবিত্র কোরআন শরীফ নিয়ে নাশকতার প্রচেষ্টা – ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার

পবিত্র কোরআন শরীফ নিয়ে নাশকতার প্রচেষ্টা – ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার

নীলফামারীতে নতুন করে আরও ২জনসহ করোনায় আক্রান্ত মোট ৬১জন

সরকার চাইলেই এখন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে কি-না?

ধানমণ্ডিতে জোড়া খুনের ঘটনায় সুরভিসহ ৫ আসামি রিমাণ্ডে

নাসিরনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ও লিফলেট বিতরণ

চকরিয়ায় তিনশত পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘর

ঝিনাইদহে বৈধ মোটরসাইকেল চালকদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও হেলমেট প্রদান

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে সরকারের অতিরিক্ত বরাদ্দ না লাগলেও জাতীয়করণে বাধা কোথায় ?