
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ সহকারী জজ আদালতে মামলা থাকা সত্ত্বেও শহরের কাঞ্চননগর এলাকায় বিরোধপূর্ন জমিতে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এলাকার এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে মামলার বাদী উপায় খুঁজতে প্রশাসনসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে শহরের কাঞ্চননগর গ্রামের মৃত মহাসিন আলীর কাছ থেকে একই গ্রামের মহিরন নেছা ২৬ শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছিল। ২০১৩ সালে ভাগবন্টন নিয়ে মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলেদের সাথে বাগবিতন্ডা হয় মহিরন নেছার। ওই সময় উপায়ান্তর না পেয়ে মহিরন নেছা বাদী হয়ে সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা(যার নং-৬৬/১৩) করেন। মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসে আদালত বন্ধ থাকায় মামলার বিবাদী কামাল হোসেন জোরপূর্বক ওই জমিতে গাছ গাছালি কেটে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। বাদী মহিরনের ছেলে হারুন বাধা দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এঘটনায় সদর থাকায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপর নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য সদর থানায় ও পৌর সভায় অভিযোগ দিয়েও অজ্ঞাত কারণে কোন প্রতিকার পায়নি বলে বাদীর ছেলে অসহায় হারুনের অভিযোগ। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিবাদী কাজী কামাল হোসেন জানান,আদালতে একজন মামলা করতেই পারে। আমার সকল কাগজপত্র আছে এবং আইনকানুন মেনেই আমি বাড়ি নির্মাণের কাজ করছি।
ঝিনাইদহ জজ আদালতে অ্যাড. শফিউল আলম জানান, বিবাদী ৮৪শতক জমির মধ্যে ২৬শতক জমির খাজনা রশিদ ও নাম খারিজের কোন কাগজপত্র জমা দেয়নি এবং আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে। তাই পৌরসভা ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য প্লানপাসের কোন অনুমতি দিতে পারে না।
বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার কার্য্য সহকারী হাবিবুর রহমান জানান,মামলার ধরন বুঝে আমরা প্লান পাসের অনুমতি দিয়ে থাকি। আর যদি কেউ আদালতের মামলা গোপন করে প্লানপাসের অনুমতি নিয়েও থাকে তাহলে পরবর্তীতে সেটি বাতিল বলে গণ্য হবে।