আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম :
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের শ্যামপুর ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের রাস্তায় মাটি কাটার প্রকল্পের প্রথম ও ২য় পর্যায়ের ২৮ লাখ টাকা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বে ফেরত দেয়া হয়েছে। এতে করে হতদরিদ্ররা কাজ করেও তাদের পাওনা টাকা পাচ্ছেন না। অপরদিকে, ব্যাহত হচ্ছে সরকারের গ্রাম হবে শহর উন্নয়নের কাজ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের হতদরিদ্ররা কাজ করেও পাচ্ছেন না তাদের পাওনা টাকা। মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ৯৩জন হতদরিদ্রদের রাস্তার মাটিকাটা কাজের প্রথম পর্যায়ে ৩টি রাস্তার ২০ লাখ টাকা ও ২য় পর্যায়ের ১টি রাস্তার ৮ লাখ টাকা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বে ফেরত চলে যাওয়ায় হতদরিদ্ররা কাজ করেও পাচ্ছেন না তাদের বকেয়া বিল। চেয়ারম্যান মেম্বাররা বলছেন প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তার জন্যেই টাকা ফেরত চলে গেছে। প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন, তারা কাজ না করেই বিল নিতে চেয়েছিল। এ জন্যে প্রকল্পের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়নের সকল মেম্বাররা চেয়ারম্যানের কাজের বিরোধিতা করায় টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় মেম্বাররা গণমাধ্যমে কে বলেন, আমাদের কাজ না দিয়ে চেয়ারম্যান একাই সমস্ত কাজ নিজেই করে বিল নিতে চেয়েছিল। আমরা বাধা প্রদান করায় সে আর টাকা নিতে পারে নাই। পরে আমরা সবাই মিলে চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিল তুলতে গেলে কর্তৃপক্ষ বলে আপনাদের আর বিল দেয়া যাবে না। আমরা শ্রমিক দিয়ে রাস্তার মাটি কেটে তাদের বিল পরিশোধ করতে পারছি না।
শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুরুজ মাস্টার বলেন, বিলের জন্য আমি বার বার প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা, ট্যাগ অফিসারদের কাছে গেলেও আমি টাকা তুলতে পারিনি। ফলে শ্রমিকদের কোন বেতন এখন পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি। প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা দুই লাখ টাকা চেয়েছিল সিলিপের জন্যে। এই টাকা না দেয়ায় সে টাকাগুলি ফেরত পাঠিয়েছে।
হতদরিদ্র শ্রমিকরা বলেন, আমরা কাজ করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কাজের বিল পাচ্ছি না। ব্যাংকে গিয়ে শুনেছি আমাদের বিলগুলি আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাক্ষর ছাড়া কীভাবে ব্যাংক কর্তপক্ষ তাদের টাকা দিল সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কাজ না করেই তারা বিল তুলে নিতে ছেয়েছিল। কিন্তু ট্যাগ অফিসার কাজ বুঝে না পাওয়ায় বিলে সই করেনি। এ ছাড়াও ওই ইউনিয়নের মেম্বারদের অভিযোগের কারণেও বিল দেওয়া হয়নি।